চলতি বছরের গত ১ মার্চ দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে আমিনুল ইসলামের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় বিবি আশা নামে এক তরুণীর। বিয়ের পর থেকে বেশ ভালই চলছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। তবে দাম্পত্য জীবনের মাত্র ৪ মাস না যেতেই এরই মধ্যে এক অনাকাঙ্খিত ঘটনা-ঘটিয়ে বসলেন গৃহবধূ আশা।
জানা যায়, সোনাগাজীতে বিয়ের চার মাস পর বিবি আশা ছয় ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ পরকীয়া প্রেমিককে নিয়ে পালিয়ে যায়।
শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ওই গৃহবধূর শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম। বিবি আশার বাড়ি উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরদরবেশ গ্রামে। সে ওই গ্রামের আতর আলী খানের বাড়ির আমেরিকা প্রবাসী রহমান খানের মেয়ে।
গত ১ মার্চ পারিবারিকভাবে ১২ লাখ টাকা দেনমোহরে নিয়ে বিবি আশার বিয়ে সম্পন্ন হয়।
আমিনুল ইসলাম হৃদয় বলেন, বিয়ের কিছুদিন পর আমার স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ধরা পড়ে। সে মাটিগঞ্জ ইউনিয়নের মোঃ ছাদেকের ছেলে রবিনের প্রেমে পড়ে। বিষয়টি আমার শাশুড়ি বিবি কুলসুম আক্তারকে জানাই। পরে পারিবারিক সালিশ বৈঠকে আমার স্ত্রী ভবিষ্যতে কোনো অনৈতিক কাজে জড়াবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেয় এবং আমার শাশুড়ি সব দায়িত্ব নিলে আমি সংসার করতে রাজি হই। আমার শাশুড়ির অনুরোধে গত ২৫ তারিকে আমার স্ত্রী বেড়ানোর কথা বলে পিতার বাড়িতে যায়। গত শুক্রবার আমি তাকে আনতে গিয়ে জানতে পারি আমার স্ত্রী তাদের বাড়ি থেকে আমাদের বাড়িতে আসার জন্য চলে গেছে। পরে, আমার শাশুড়ি এবং শ্যালক জহির খান আমাকে জানায় যে সে তার পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গেছে।
সিরাজুল ইসলাম জানান, বিবি আশার পরকিয়া প্রেমের ঘটনাটি গোপন করে তার পরিবার আমার ছেলের সাথে বিবাহ দেয়। ইচ্ছে করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তারা আমাদের মান সম্মান ক্ষুন্ন করেছে। বিয়ের সময় আমরা বিবি আশাকে ছয় ভরি স্বর্ণালঙ্কার দিয়েছিলাম। পালিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের দেওয়া স্বর্ণালঙ্কারও নিয়ে যায়।
এদিকে শুক্রবার রাতে আমিনুল ইসলাম সোনাগাজী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ খবর পেয়ে রাতেই বিবি আশার পরিবার থানায় এসে সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে মুচলেকায় মীমাংসা করে।
বিবি আশার চাচা মিজান খান বলেন, তাদেরতো কোন দোষ নেই,সব দোষ আমাদের মেয়ের। আমরা তাদের স্বর্ণালংকার ফেরত দিবো এবং দেনমোহরের জন্য আইনগত ব্যাবস্থা নিবোনা এই মর্মে মুচলেকা দিয়ে সমযোতা করি।
এদিকে এ বিষয়ে পরকিয়া প্রেমিক রবিনের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার মুঠোফোন একাধিকবার কল করা হলেও, তার মুঠো ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে রবিনের এক বন্ধুর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এরই মধ্যে আশা ও রবিন বিয়ে করে ফেলেছেন।