পুলিশ নামটির সঙ্গে পরিচিত প্রায় সকলেই। তবে বর্তমানে এ নামটি যেন সমাজের মানুষের কাছে একটি আঁতঙ্কের কারন হয়ে দাড়িয়ে। আর তা হবেই বা না কেন? যেখানে দুর্নীতি-অনিয়ম প্রতিরোধের বিপরীতে পুলিশের অনেক কর্মকর্তাই জড়িয়ে পড়ছে নানা অনিয়মে। আর এই তালিকায় সম্প্রতি এবার নাম উঠলো আরেক পুলিশ কর্মকর্তার।
জানা যায়, স্ত্রী-সন্তান থাকার পরও দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। পরকীয়ায় জড়িয়ে স্ত্রী ও সন্তানের নিচ্ছে না খবর, দিচ্ছে না কোনো খরচ। প্রায় ২ বছর কোনো খবর না নেওয়ায় অসহায় জীবন যাপন করছে মা ও শিশু সন্তানটি। স্বামীর অধিকার ফিরে পেতে চাইলে করা হচ্ছে মারধর ও নির্যাতন।
এনিয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অভিযোগ ও আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী। অভিযুক্ত ওই পুলিশ সদস্য আশিক হোসেন ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের পান্নু মোল্লার ছেলে। বর্তমানে আশিক যশোরের অভয়নগর থানার পাথালিয়া ক্যাম্পে কর্মরত আছে।
ভুক্তভোগী শামীয়া শারমিন অনি বলেন, ২০১৫ সালের ১৫ জুলাই প্রেমের সম্পর্কে আশিকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সুখেই কাটছিল তাদের সংসার। তাদের সংসারে ৩ বছর বয়সীয় একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
অনি অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের কয়েকবছর পর থেকে সে মোবাইলে বিভিন্ন নারীদের সাথে কথা বলত। বিষয়টি আমি টের পেয়ে তাকে নিষেধ করলে বকাবকি ও মারধর করতো। এভাবেই চলছিল তাদের সংসার। এর মাঝে ২ লাখ টাকা যৌতুকও দাবি করে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য আশিক। ২০১৯ সালে কুষ্টিয়ায় কর্মরত থাকায় অবস্থায় যশোর কোতয়ালী থানার শংকরপুর গ্রামের জালাল উদ্দিনের মেয়ে ফারহানার ইয়াসমিনের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। ফারহানার ৮ বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
এদিকে এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আশিকের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলার তদন্ত কাজ এখনো চলমান। তবে শীঘ্রই এর রিপোর্ট পেশ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।