গত বছর দুই আগেই এক সঙ্গে গার্মেন্টসে কাজের সুবাদে হিরা মুক্তা (রবি) নাম এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে রাকিবা আক্তারের। এভাবে বেশ কিছুদিন যাওয়ার পর পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিয়েও করেন তারা। তবে জন্ম নিবন্ধন না থাকার কারণে তাদের বিয়ের কোনো রেজিস্ট্রি হয়নি সত্য, কিন্তু তাদের বিয়ের স্টাম্প হয়েছিল ।
আর সেই কাগজটি এখন ছেলের পরিবারের কাছে।
রবি ও রাকিবার বিয়ে হয়েছে দুই বছর, তিন মাস আগে একটি মৃত সন্তানের জন্ম হয়েছে। সন্তান জন্মের পর তার স্বামী রবি ও শাশুড়ি নুরজাহান বেগম রাকিবা আক্তারের কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। টাকা দিতে না পারায় দুই মাস আগে রবি মেয়েকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম বোনের বাড়িতে পাঠিয়ে আবার বিয়ে করে।
এদিকে স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের কথা জানতে পেরে গত বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) চট্টগ্রাম থেকে অঙ্গসঝিরিতে আসেন রাকিবা। শতবর্ষী বৃদ্ধ বাবা বেঁচে থাকলেও মা মারা গেছেন অনেক আগেই। অভিভাবক বলতে এখন কেউ নেই তার।
রাকিবা বেগম (২১) বলেন, আমাদের বিয়ে হয়েছে দুই বছর হলো। তিন মাস আগে আমার একটি মৃত বাচ্চা হয়েছে। প্রসব বেদনা শুরু হলে আমার শাশুড়ি নূরজাহান বেগম আমাকে তিনবার ও দুইবার ছয়টি ট্যাবলেট খাওয়ান। এর কিছুক্ষণ পরেই আমার একটি মৃত সন্তান হয়। বাচ্চার জন্মের কয়েকদিন আগে আমি আল্ট্রাসনোগ্রাফি করি, তারপর ডাক্তার বললেন বাচ্চা সুস্থ আছে। তারা এখন আমাকে অস্বীকার করছে কারণ কাবিননামা ছিল না এবং ৫ লাখ টাকা দিতে পারেনি। আমার কোনো অভিভাবক নেই। “আমার স্ত্রীর মর্যাদা না দিলে ম”রে’ যাও”য়া ছাড়া আমার কোন উপায় নেই”।
তিনি আরও বলেন, সংসারে সুখের জন্য আমি আমার স্বামীকে বিয়ের পর ৯২ হাজার টাকা ও আট আনা সোনা দিয়ে দেই। আমি এখন খারাপ কারণ আমি এখন টাকা দিতে পারছি না। বিয়ের সময় ছেলের চাচা আব্দুর শুক্কুর, খালা রুবি আক্তার, গ্রামের সরদার মোঃ শাহজাহান, স্থানীয় মৌলভী, ছেলের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোঃ হেলাল উদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমরা জানি। ছেলে রবির মা নুরজাহান বেগম কারো কথা শুনেনা। খুবই খারাপ ও লোভী মহিলা। তার একটা ছেলের বউকে শান্তি দেয়নি সে। তার কারণে ঘরে কোন বউ থাকতে পারেনা। অসহায় মেয়ে রাকিবা আক্তারকে আইনী পদক্ষেপ নিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এদিকে এ বিষয়ে রাকিবার স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়টি রীতিমতো অস্বীকার করে সংবাদ মাধ্যমকে দাবি করেন, রাকিবের পূর্বে বিয়ে সন্তানও রয়েছে জানতে পেরে তিনি আবারও বিয়ে করেন। তবে স্বামীর এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাকিবা।