মাহিয়া মাহি বর্তমানে সব থেকে সুখী একজন অভিনেত্রী ঢাকাই চলচিত্রের অভিনেত্রীদের মধ্য। মা হতে চলেছেন তিনি। আর এই খুশিতে এখন তিনি আত্মহারা হয়ে আছেন। সম্প্রতি এ নিয়ে নিয়ে দিয়েছেন একটি সাক্ষাৎকার। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তারই সেই সাক্ষাৎকার তুলে ধরা হলো :-
কেমন আছেন?
আলহামুদিল্লাহ, ভালো আছি?
মা হচ্ছেন অভিনন্দন। কবে জানতে পারলেন খবরটি?
ধন্যবাদ। আমি জানতে পারছি কিছুদিন আগে। কিন্তু কোনভাবেই আমার আব্বু আম্মু বলতে দিবে না খবরটি। তাদের সঙ্গে মোটামুটি যুদ্ধ করার পর আজকে অনুমতি দিয়েছে।
ডাক্তাররা কবে নাগাদ পৃথিবীতে আপনার অনাগত সন্তান পৃথিবীতে আসার তারিখ দিয়েছেন?
ওইভাবে তারিখ দেননি। এই তো আরও ছয়-সাত মাস পরে।
আপনি এখন তো ডাক্তারের অধীনের চিকিৎসা নিচ্ছেন নিয়মিত? কোনো নিয়ম কানুন দিয়েছে কি?
মাত্র শুরু করলাম ডাক্তারের কাছে যাওয়া আসার। এখনও ওইভাবে কোনো কঠিন নিয়ম দেননি।
সন্তানের মা হতে পারা, একজন নারীর জন্য জীবনের শ্রেষ্ঠ পাওয়া। এ খবরটা যখন ডাক্তাররা আপনাকে নিশ্চিত করলো সে মুহূর্তে আপনার অনুভূতি কেমন হয়েছিল?
খবরটা শোনার পর আমি তো মোটামুটি লাফালাফি শুরু করে দিয়েছিলাম। কিন্তু বিষয়টা আমার জন্য নিষেধাজ্ঞা ছিল। বাসার এক পা নামা যাবে না- অনেক কুসংস্কার থাকে না? বলে যাবে না। ফেসবুকে এখন নিজের ছবি, জামাইয়ের ছবি- সবকিছু ছবির একটু কম দিবা। মানুষের নজর লাগবে। কতকিছু যে! আমি প্রকাশই করতে পারছিলাম না। আমার খুশিটা এমন যে- এই একটা স্ট্যাটাস দেওয়ার জন্য আমি সারাটা জীবন অপেক্ষা করেছি, আমার কাছে মনে হয়েছে।
ভাইয়ার কী অবস্থা? ওনার প্রতিক্রিয়া কী?
ওই তো অনেক খুশি। তবে কোন সময় কোন শুটিংয়ে আমি চলে যাই। যদি আমি কাউকে না বলিতা হলে কেউ তো জানবে না, তাহলে আমি কীভাবে কাজ করবো। টেককেয়ার হবে না। কী থেকে কী হয়ে যায়। এসব নিয়ে ও খুবই চিন্তায় আছে। বাতাস বা অন্যান্য কুসংস্কার ও একটু বেশিই বিশ্বাস করে। ও এসব নিয়ে খুবই সেনসেটিভ। ওকে নিয়ে আমি আছি যন্ত্রণায়।
এখন কী আপনার বাবা-মার কাছে থাকছেন?
আমাদের বাসায় থাকতেছি। ওর তো সামনে নির্বাচন। যার কারণে ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন গাজীপুর যায়। আমার তো যাওয়া নিষেধ। তখন আমি আম্মুর বাসায় এসে থাকি। ও যখন আসে আমাকে নিয়ে যায়।
এখন তো আপাতত কী কাজ বন্ধ রাখবেন?
না, না। দৌড় ঝাপ, হাঁটাহাঁটি বেশি না করে করা যায় এমন কাজগুলো করবো। একদম তো ঘরে বসে থাকলে তো মরেই যাবো।
তার মানে যতটুকু আপনার সন্তানের ক্ষতি না করে যায় ততটুকু করবেন?
বাসা থেকে বলা আছে, ফটোশুট কিংবা সাক্ষাৎকার- এগুলো তো বসে বসে বা দাঁড়িয়ে থেকে করা যায় এগুলো করতে। বেশি দৌড়াদৌড়ি টাইপের শুটিং করা যাবে না।
আপনার কি কোনো ছবির কাজ বাকি আছে কিংবা নতুন কোন ছবির কাজ হওয়ার কথা ছিল?
আমি একদম সবকিছু শেষ করেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বলতে পারেন, আমি সবকিছু এমনভাবে গুছিয়ে এনেছি যাতে আমার সন্তানকে সুন্দরভাবে পৃথিবীতে আনতে পারি।
অনেকে তো সন্তানের নাম আগে থেকে ঠিক করে রাখে, আপনি রেখেছেন?
ওই যে বলেছিলাম তো, মেয়ে হলে ফারিস্তা।
আর ছেলে হলে? বা যদি জমজ সন্তান হয়?
ছেলের নাম ঠিক করি নাই। আর আমার জমজ সন্তান হবে না। কারণ, আগেই তো ডাক্তাররা বলে দেন।
৭ অক্টোবর তো আপনার অভিনীত ‘যাও পাখি বলো তারে’ মুক্তি পাচ্ছে? ওই ছবিটির প্রচারণায় কি তাহলে থাকতে পারছেন?
হ্যাঁ, অবশ্যই থাকছি।
প্রসঙ্গত,গেলো বছর গাজীপুরের ব্যবসায়ী রাকিব সরকার কে বিয়ে করেন মাহিয়া মাহি। এটি ছিল তার দ্বিতীয় বিয়ে। রাজীব সরকারকে বিয়ে করার পর থেকেই তিনি তাদের সব কিছু শেয়ার করতে থাকেন ভক্তদের সাথে। আর সেই কারণেই নিজের জীবনের সব থেকে বড় খুশির সংবাদটাও শেয়ার করতে ভুললেন না তিনি।