অবশেষে পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে লক্ষ্মীপুরে ফার্নিচারের নকশার কারিগর রিয়াজ হোসেন ‘হ”ত্যা’র ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে র্যাব। আর এরই আলোকে এবার প্রকাশ্যে বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর এক তথ্য! যা নিয়ে রীতিমতো গোটা এলাকাজুড়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
রিয়াজের সঙ্গে কাউছার স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে এমন সন্দেহে পরিক’ল্পিত’ভাবে এ ‘হ”ত্যা’কা’ণ্ড’ ঘটানো হয়। এরপর টাকা আত্ম’সা’তের জন্য রিয়াজের পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসামিরা।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পে এর আয়োজন করা হয়।
এর আগে তদন্ত ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে শুক্রবার সকালে মান্দারী ইউনিয়নের জাদাইয়া এলাকা থেকে কাউছার ও রাকিবকে চট্টগ্রাম নগরীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। কাউছার জাদাইয়া গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে এবং রাকিব টায়ওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের বিনোধর্মপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, কাউছার ও ভিকটিম রিয়াজ একই কোম্পানিতে কর্মরত। এ সুযোগে কাউছারের বাসায় তার আসা যাওয়া ছিল। এতে কাউছার স্ত্রীর সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এদিকে কাউছার সন্দেহ করে যে রিয়াজের সঙ্গে তার স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। বিষয়টি অভিযুক্ত রাকিবকে জানানো হয়। এতে তারা রিয়াজকে’ ”হ”ত্যা’র পরি’ক’ল্পনা করে। ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে কাউছার তাকে মোবাইল ফোনে মান্দারী বাজার এলাকার উম্মে সালমা ভবনের একটি ভাড়া বাসায় ডেকে নেয়। দুই মাস আগে তারা ওই বাসা ভাড়া নেয়।
এরপর চেতনানাশক ওষুধ মেশানো খাবার খাইয়ে রিয়াজকে অচেতন করা হয়। পরে আসামিরা তাকে হাত-পা ‘বেঁধে মা’থা’য় ‘আ’ঘা’ত’ করে এবং মু’খে ও না’কে গা’ম’ছা পেঁ’চি’য়ে ‘হ”ত্যা” করে। পরে তারা দ’রজা বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
এদিকে রিয়াজের মা খুরসিদা বেগম তার ছেলেকে অপ’হ’র’ণের কথা জানিয়ে র্যাবের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন। তদন্ত ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রথমে রিয়াজের সহকর্মী কাউছারকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞা’সা’বাদে সে ‘হ”ত্যা”র কথা স্বীকার করেছে।
এরপর কাউছারের দেয়া তথ্যের আলোকে পরবর্তীতে গ্রেপ্তার করা হয় এই ‘হ”ত্যা”কা’ণ্ডে সহযোগী রাকিবকেও। তাদের থানায় পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলেও জানিয়েছে র্যাব।