সম্প্রতি বাংলাদেশ পুলিশ সপ্তাহ শুরু হয়েছে, উদ্বোধনী করেছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সম্পর্কে নানান ধরনের কথা বলেন। সেইসাথে তিনি পুলিশের প্রশংসায় কিছুটা পঞ্চমুখ ছিলেন। বাংলাদেশ পুলিশের সাহসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আজ বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ প্রশংসিত এমনটাও মন্তব্য করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের সেবা করা পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের পবিত্র দায়িত্ব। স্নেহ বা অপছন্দের কোন অবকাশ নেই। অবহেলা বা নৈতিক স্খলন একটি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। রোববার (২৩ জানুয়ারি) পুলিশ সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে পুলিশ সপ্তাহ। আজ সকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে বার্ষিক পুলিশ কুচকাওয়াজের মাধ্যমে পুলিশ সপ্তাহ-২০২২ এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমন, মাদক ও চোরাচালান নির্মূলে পুলিশের ভূমিকা বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে আরও উজ্জ্বল করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের সাহসী সদস্যরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য প্রশংসনীয় অবদান রাখছেন। বাংলাদেশ পুলিশে নতুন পদ সৃষ্টি করে পুলিশ কর্মকর্তাদের পদোন্নতির সমস্যা সমাধানে আমরা কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছি। একই সঙ্গে গ্রেড-১ ও গ্রেড-২ পদের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য ২০১০ সালে শিল্পাঞ্চলের জন্য একটি শিল্প পুলিশ ইউনিট এবং ২০১৩ সালে একটি ট্যুরিস্ট পুলিশ ইউনিট গঠন করি।
প্রধানমন্ত্রীর এমন প্রশংসা পুলিশকে নিয়ে, পুলিশ প্রশাসনের কাজের অগ্রগতি আরো বাড়িয়ে দিবে কয়েক গুণ। তবে প্রশংসার পাশাপাশি বিভিন্ন দিক সতর্কও করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পুলিশ প্রশাসনকে। যেন কোন প্রকার অনৈতিক কর্মকান্ড না ঘটে সে ব্যাপারে দিয়েছেন পরামর্শ। এখন দেখার বিষয় পরবর্তীতে পুলিশের কার্যক্রমও কত খানিকটা অগ্রগতি বহন করে প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের ভিত্তিতে।