বাংলাদেশে অনেক বছর ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে যাচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। তুরাগ নদীর তীরে এই ইজতেমা শুরু হয় প্রতিবছরই। আর এই ইজতেমায় বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অনেক দেশের মুসলিমরা উপস্থিত হয়ে থাকে। এবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পাবলিক এডুকেশন প্রমোশন অ্যান্ড লাইব্রেরি মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন,আলেমদের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরি করতে হবে। তাদের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরি হলে উভয় দেশেই সুসন্তান তৈরি হবে। ভারতেও হবে বাংলাদেশেও হবে। কারণ, প্রকৃত আলেম কোনো দিন দেশদ্রোহী হতে পারে না। তিনি আরও বলেন, ইসলাম ধর্মের নামে যারা সহিংসতা ছড়ায় বা যারা মানব বোমায় নিজেকে খতম করে, অন্য সাধারণ মানুষের প্রতি অবিচার করে, দেওবন্দের ভাষায় এসব কাজ ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টর এলাকায় ইজতেমার সাধারণ ইস্যুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতের মন্ত্রী বলেন, তাবলিগ জামাতের শৃঙ্খলা সারা বিশ্বের জন্য একটি মডেল। কেউ স্বীকার করবে কি করবে না সেটা তার ব্যাপার। ইসলামের শিক্ষা ও বড়দের ধর্মের নীতিই তাদের আদর্শ।
বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, এখানকার সরকারে যারা আছেন তারা ইজতেমার ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। পুলিশ ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আন্তরিকতাও তাৎপর্যপূর্ণ।
এ সময় ঢাকা ১৮ আসনের সংসদ সদস্য হাবিব হাসান, তাবলিগ জামাতের শীর্ষ রাব্বী নাদিম হাসান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহ-সভাপতি মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা এ কুদ্দুস, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মাওলানা তোফাজ্জল হক আজিজ, মাওলানা নাজমুল হোসাইন, মাওলানা লোকমান মাজারী প্রমুখ। , মুফতি জাকির হোসেন কাসেমী, মাওলানা জয়নাল আবেদীন, মুফতি মাসুদুল করিম, মাওলানা মতিউর রহমান গাজীপুরী, মাওলানা জাবের কাসেমী এবং মিডিয়া সমন্বয়কারী মুফতি জাহির ইবনে মুসলিম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হয়ে গেছে। এ মাসের শেষ ভাবে আবারো অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় পর্ব। এ ইজতেমায় প্রতিবছর দেশ ও বিশ্বের জন্য মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয়।