বিশ্ব ইজতেমায় টঙ্গীর তুরাগ তীর ছাড়াও, নদীর পশ্চিম পাড়ে এবং উত্তরার দিয়াবাড়িতে প্রধান প্যান্ডেল হচ্ছে। টঙ্গীতে মূল মঞ্চের পাশাপাশি দিয়াবাড়ীতে আরেকটি মঞ্চ নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে টঙ্গীতে অবস্থিত মূল মঞ্চ থেকে দিয়াবাড়ী মঞ্চে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বয়ান প্রচারিত হবে। তবে ইজতেমা ময়দানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ হবে আলাদাভাবে।
বাড়তি মুসল্লিদের ভিড় সামলাতে ও ভোগান্তি কমাতেই এই আয়োজন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আজ বিশ্ব ইজতেমা ময়দান পরিদর্শন ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
টঙ্গী ইজতেমা ময়দানের বয়ান মঞ্চের সংগঠক হাজী মোহাম্মদ রেজাউল করিম রেজা বলেন, এবার টঙ্গী ইজতেমা ময়দানের প্রধান বয়ান মঞ্চের পাশাপাশি উত্তরার দিয়াবাড়িতে আরেকটি মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের বয়ান দিয়াবাড়ি মঞ্চে পৌঁছে দেওয়া হবে।
সেখান থেকে দিয়াবাড়ি মাঠে বয়ান ও আখেরি মোনাজাতে অংশ নেবেন মুসল্লিরা। তবে প্রতি বছরের মতো এবারও টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এবং দিয়াবাড়িতে আলাদাভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা হবে।
টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার প্রধান সমন্বয়ক প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নান বলেন, আগামীকাল বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টঙ্গী আসবেন। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দেবেন এবং বিশ্ব ইজতেমা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবেন।
তিনি বলেন, ‘এবার বিশ্ব ইজতেমায় ১০৫টি খিত্তা থাকবে। টঙ্গীর মূল মঞ্চে ৭২টি, টঙ্গীর তুরাগ তীরের পশ্চিম পারে ১০টি ও উত্তরার ১৮ নম্বর সেক্টরে দিয়াবাড়ি মাঠে ২৩টি খিত্তা থাকবে। দিয়াবাড়িতে এবার নতুনভাবে মাঠ প্রস্তুত করায় বেশ কিছু কাজ করা হচ্ছে। দিয়াবাড়িতে ৬০ একর জায়গার মাঠ হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় মাঠ। দিয়াবাড়ি ময়দানে আটটি গভীর নলকূপ, ১৪টি বড় চৌবাচ্চা ও দুই হাজার ৫০০ টয়লেট নির্মাণ করা হচ্ছে।
দিয়াবাড়ি ইজতেমা ময়দানের জিম্মাদার মাওলানা ফরিদ আহমদ বলেন, ‘বিশ্ব ইজতেমার প্রধান সমন্বয়কারী প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নান সাহেব। আমি দিয়াবাড়ি ময়দানের জিম্মাদার।’
দিয়াবাড়ি ময়দানের প্রস্তুতি কাজ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে ময়দান প্রস্তুত করার কাজ চলছে। টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় সর্বসম্মতিক্রমে দুটি ময়দান করা হয়েছে। তবে টঙ্গীর ময়দানের মূল মঞ্চ থেকে বয়ান সরবরাহ করে দিয়াবাড়িতে শোনানো হবে। আখেরি মোনাজাতও বয়ানের মতো সরবরাহ করা হবে। তবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ দুই ময়দানে পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত হবে।’
আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে ১০ লাখ, তুরাগ নদীর পশ্চিম তীরে ১ লাখ ও দিয়াবাড়িতে ২ লাখ মুসল্লি অংশ নেবেন। আখেরি মোনাজাতে প্রায় ৪ মিলিয়ন ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
২০১১ সালে বিশ্ব ইজতেমা দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে প্রতি বছর দুই দফায় বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। আর এবারই প্রথম দুই ময়দানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। প্রথম ধাপের ভোট হবে ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি।