আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে বেশ কিছু নামি-দামি সংস্ঠা রয়েছে যারা কিনা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নানা বিষয়ে উপর জরিপ করে সেরা বিষয় গুলো লিপিবদ্ধ করে এবং বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করে। এরই লক্ষ্যে বিশ্বের অনেক অজনা বিষয় এবং সেরা বিষয় গুলো খুবই সহজেই জানতে সক্ষম হয়ে বিশ্ববাসী। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানীদের তালিকা। এই তালিকায় রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অনেকেই। এই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও।
বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় এ বছর মর্যাদাপূর্ণ স্থান লাভ করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষক, গবেষক এবং বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর সারাদেশে প্রশংসায় ভাসছেন উপাচার্য। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে যেমন আলোচনা চলছে তেমনি বাংলাদেশের অধিকাংশ অনলাইন পোর্টাল, পত্রিকায় উপাচার্যকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের মাঝে এক ধরনের আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে উপাচার্যকে নিয়ে প্রশংসা করে স্ট্যাটাস দিতে দেখা গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অন্যদেরও।
মো. ইমরান খান নামের এক ব্যক্তি ফেসবুকে লেখেন, দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় যখন নানান সাবজেক্টের ব্যানারে বিসিএস, ব্যাংকার্স তৈরির কারখানায় পরিণত হয়েছে তখন দেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় খুবি ধীরে ধীরে গবেষণা ও উদ্ভাবনীতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। এর জন্য উপাচার্য স্যারের চেষ্টাই মুখ্যই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী রেজওয়ান আহম্মেদ বলেন, এ রকম একজন আন্তর্জাতিক মানের গবেষক এবং একাডেমিক ব্যক্তিত্বকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে পাওয়া আমাদের জন্য সত্যিই অনেক আনন্দের এবং আশাব্যঞ্জক।
এছাড়াও এডি ইনডেক্সের র্যাঙ্কিংয়ে খুবির উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান লাভ করায় তাকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধানেরা, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও অফিসার্স কল্যাণ পরিষদ। জানা যায়, এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স নামের আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা সংস্থা সারা বিশ্বের ২০৬ দেশের ১৩টি ক্যাটাগরিতে ৫৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত লাখেরও বেশি বিজ্ঞানীর সাইটেশান এবং অন্যান্য ইনডেক্সের ভিত্তিতে এই তালিকা প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে গবেষক অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি ও ফরেস্ট্রিতে এবং পৃথকভাবে ফরেস্ট্রি উভয় ক্যাটাগরিতে ১ম, দেশে ফরেস্ট্রি বিজ্ঞানীদের মধ্যে ৪র্থ, এশিয়ার বিজ্ঞানীদের মধ্যে ১৫১তম এবং সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের মধ্যে ৮২৫তম স্থান লাভ করেছেন।
সাধারণত এই র্যাঙ্কিং করার ক্ষেত্রে বিশ্বের ৭ লাখ ৮ হাজার ৪৮০ জন, এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ১ লাখ ৫৩ হাজার ২৬২ জন, বাংলাদেশের ১ হাজার ৭৯১ জন এবং খুবির ২৯ জন বিজ্ঞানীর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে চলতি বছরসহ গত পাঁচ বছরের সাইটেশন আমলে নেওয়া হয়। খুবি উপাচার্য ড. মাহমুদ হোসেন একজন নিবেদিতপ্রাণ গবেষক হিসেবে পরিচিত। বন, কৃষি, মৃত্তিকা, পরিবেশ, প্রতিবেশ ও পর্যটনের ক্ষেত্রে রয়েছে তার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গবেষণা খ্যাতনামা জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। সুন্দরবনের ওপর তার নানাধর্মী গবেষণা রয়েছে। এ ছাড়া তিনি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একজন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ। দেশের মধ্যে প্রথম খুবিতে সয়েল আর্কাইভ তার উদ্যোগে ও প্রচেষ্টায় স্থাপিত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা সংস্থা এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স এর প্রকাশিত প্রতিবেদনে সেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষক ও গবেষক এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন। তার এই অর্জন বাংলাদেশের জন্য অত্যান্ত গৌরবের এবং সম্মানের।