বিশ্বজুড়ে বর্তমান সময়ে অর্থনৈতিক সংকট এবং মূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে সৃষ্ট সং”ঘাতের কারণে বিশ্বজুড়ে সংকটের মাত্রা ব্যাপকতা পেয়েছে। এরই প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে। জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দিয়েছে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে, এবার এই সংকট নিরসনের জন্য নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় কৃচ্ছ্রসাধনে যথাযথ উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২৫ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, তিনটি ক্যাটাগরি তৈরি করে টাকা খরচের সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে। শিগগিরই দরকার নাই এমন সব জিনিসপত্র ক্রয় না করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীর এসব নির্দেশনার কথা জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রতিটি কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, চলমান প্রকল্পগুলোকে ৩টি ভাগে ভাগ করা হবে।
১. ক্যাটাগরির প্রকল্পে পুরো টাকা খরচ করা হবে ২. ক্যাটাগরিতে ৭৫ শতাংশ খরচ করা যাবে ৩. ক্যাটাগরির প্রকল্প আপাতত বন্ধ থাকবে।
এছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশে প্রশিক্ষণও আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জ্বালানি তেলের সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কম করা হচ্ছে। যার কারণে নির্দিষ্ট এলাকাতে নির্ধারিত সময়ে লোডশেডিং করা হচ্ছে। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা কমে যাওয়ায় বিদেশ থেকে বিলাসজাত দ্রব্য আমদানি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেই সাথে সরকার সরকারি দপ্তর গুলোতে খরচ কমানোর জন্য নির্দেশনা দিয়েছে।