পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করলে দুই যুগেও নির্মাণ কাজ শেষ হতো না বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ড. তাজুল ইসলাম। সোমবার (৪ জুলাই) রাজধানীর বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের ‘বাংলাদেশের ৫০টি সাকসেস পসিবিলিটিস’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম পদ্মা সেতু থেকে বিশ্বব্যাংকের তহবিল প্রত্যাহার থেকে কী শিখলেন জানতে চাইলেন। কোম্পানি অর্থায়ন না করায় আমাদের স্বপ্নের সেতুটি দ্রুত নির্মিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় মনোবলের কারণে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বিশ্বে আমাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে এবং নিরাপদ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক যদি সেতুর জন্য অর্থায়ন করত, তাহলে তাদের ইচ্ছেমতো করতে হতো। নকশা পরিবর্তন, প্রযুক্তিগত সমস্যা, এখানে এবং সেখানে সমস্যা, তাদের মতামত আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। নইলে আমাকে জোর করে কাজ বন্ধ করে দিতেন। এতে সময় নষ্ট হতো।
বইটির লেখক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বইটির একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন এবং প্রকাশনা ও বইটির সাথে জড়িত সকলকে ধন্যবাদ জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য ড. দেলোয়ার হোসেন, এবি ব্যাংক লিমিটেডের সভাপতি ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আফজাল বক্তব্য রাখেন।
প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতু হলো বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নের সেতু। অনেকেই গেছে আসছে কিন্তু বাংলার মানুষের এই স্বপ্ন কেউ পূরণ করেনি। মানুষের সেই স্বপ্ন পূরণ করলো বাংলাদেশের বার বার নির্বাচিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জেননেত্রী শেখ হাসিনা।