জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সরকারকে ভাবতে হবে কেন এত অবক্ষয়। তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব মামলাটি শেষ করে যথাযথ বিচার করতে হবে। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে বিরোধী দলের চিফ হুইপ এসব কথা বলেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জ্যাব) মীর মোশাররফ হোসেন হলে স্ত্রী ও শাখা ছাত্রলীগের নেতা ও বহিরাগতকে আটকে রেখে স্বামীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন হল সংলগ্ন জঙ্গলে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীর দেওয়া জবানবন্দিতে আসামিরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের ছাত্র মুস্তাফিজুর রহমান ও বহিরাগত যুবক মামুন (৪৫)। এদের মধ্যে মুস্তাফিজ মীর মোশাররফ হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র। তিনি ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলের অনুসারী।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুরসহ চারজনকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ডে নেওয়া অন্য আসামিরা হলেন সাব্বির হাসান, সাগর সিদ্দিক ও হাসানুজ্জামান।
ওই দিন পুলিশ আসামিদের আদালতে হাজির করে। এরপর সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান তাদের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আসামিদের পক্ষে রিমান্ড বাতিল চেয়ে অ্যাডভোকেট মো. খালিদ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত পিপি আনোয়ারুল কবির বাবুল। এ বিষয়ে শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগম আসামিদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।