বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের পাখির মতো গুলি করা হচ্ছে। এবং গতকাল বাংলাদেশ থেকে তিনটি ছাগল ঢুকেছিল এবং বিএসএফ তাদের ধরে ফিরিয়ে দেয়। এটা বাংলাদেশের জনগণ ও সার্বভৌমত্বের প্রতি উপহাস।
বুধবার সকালে রাজধানীর গুলশানে জনগণের মধ্যে লিফলেট বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
৫ জানুয়ারির একতরফা ডামি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ আজ চরম অন্ধকারে নিমজ্জিত। আর্থিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে ভয়াবহ নৈরাজ্য চলছে। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুন্ন করা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের সাথে তামাশা করা হচ্ছে।
‘দেশ বাঁচাও, জনগণ বাঁচাও’ শীর্ষক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে রিজভীর নেতৃত্বে গুলশান এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।
৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনকে ‘ডামি’ আখ্যা দিয়ে বাতিলের দাবির পাশাপাশি প্রচারপত্রে সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ নির্বাচনের দাবি জানানো হয়।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রিজভী বলেন, অন্যদিকে সীমান্তের ওপারে কক্সবাজারের টেকনাফ ও বান্দরবানের ঘুমধুমে শুটিং হচ্ছে। বাংলাদেশি কৃষকরা সীমান্তে কাজ করতে পারছেন না। আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের। আমার বাংলাদেশ সরকার হাত গুটিয়ে বসে আছে। তারা নিশ্চুপ। কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। এভাবে চলতে পারে না।
নারী নির্যাতন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কী হচ্ছে? ছাত্রলীগ একে যৌন আনন্দের উৎসবে পরিণত করেছে। কুষ্টিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই সরকার জনগণের টাকা লুটপাট করে ভাগাভাগি করে নিজেদের হত্যা করছে।
রিজভী আরও বলেন, আজ ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর সরকার নিজেদের জমিদার মনে করেছে। তাই তারা দেশে জমিদার প্রতিষ্ঠা করেছে। কিন্তু এই জমিদারতা সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলছে এবং চলবে। জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর আন্দোলন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন। এই আন্দোলন জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন। এটা চলমান আছে এবং চলবে।
লিফলেট বিতরণকালে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. মোঃ রফিকুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম, যুবদলের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, কাজী জামাল হোসেন প্রমুখ। রফিকুল ইসলাম রফিক, যুবদল সহ. এবং প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা, বিএনপি নেতা মোঃ আশফাকুল ইসলাম সরকার, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ তৌহিদুর রহমান আউয়াল, রেহেনা আক্তার শিরীন, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আজিজুল হক জিয়ন, সাদেক মিয়া, জাকারিয়া হোসেন ইমন, ডিএইচএবি যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদ, ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রদল সৈয়দা সুমাইয়া পারভীন, পিএবি দপ্তর সম্পাদক হাসান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা মিরাজ হোসেন, আশরাফুল আসাদ, সাইদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদল নেতা আতিক হোসেন প্রমুখ। , যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম, কাজী মঞ্জুর রহমান, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ, তোহা আমিনসহ ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।