বাংলাদেশে কয়েক দিন আগে অনেকটা অযৌক্তিকভাবে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কেরোসিন ও ডিজেলের দাম। কিন্তু কয়েক বার বৃদ্ধি পাওয়ার পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে সুখবর শোনা গেল, কমেছে তেলের দাম। একই সঙ্গে প্রাকৃতিক গ্যাসের দামেও সুখবর অর্থাৎ দাম বেশ কয়েক শতাংশ কমেছে। গেল সপ্তাহে অপরিশোধিত তেল এবং ব্রেন্ট ক্রুডের ওয়েলের দাম কমে গিয়েছে প্রায় এক শতাংশ। হিটিং অয়েলের দাম কমেছে দুই শতাংশেরও অধিক। আর প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম তেলের তুলনায় অনেক বেশি কমেছে যেটা প্রায় ১৩ শতাংশ কমেছে।
বিশ্বব্যাপী চলমান পরিস্থিতির কারণে গেলো এপ্রিলে বিশ্ববাজারের ইতিহাসের সর্বোচ্চ দরপতনের মধ্যে পড়ে তেল। প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ঋণাত্মক ৩৭ ডলারের নিচে নেমে যায়। এই দরপতনের পর বাড়তে থাকে তেলের দাম। গেলো বছর প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৪০ ডলারের আশেপাশে ছিলো। এরপর গেলো অক্টোবরে অপরিশোধিত ও ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম প্রায় ১০ শতাংশ কমে যায়। তবে নভেম্বর থেকে আবার বাড়তে শুরু করে তেলের দাম।
কয়েক দফা দাম বেড়ে করোনার মধ্যে প্রথমবার চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৬০ ডলারে উঠে আসে। তারপর জুনে অপরিশোধিত তেরের ব্যারেল ৭৫ ডলারে উঠে আসে। আর অক্টোবরের শেষে তেলের দাম ৮৪ ডলার ছাড়িয়ে যায়। এর মাধ্যমে গেলো সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হয় তেলের দাম।
এদিকে গত এক সপ্তাহে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম কমেছে ১৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ।এতে মাসের ব্যবধানে প্রকৃতিক গ্যাসের দাম কমেছে ১৪ দশমিক ৬০ শতাংশ।
প্রসংগত, বিশ্ববাজারে তেলের দাম এবং সেই সাথে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম কমলেও বাংলাদেশে এই তেলের দাম কমবে কিনা সেই বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি সংশ্লিষ্ট বিভাগের কোনো কর্মকর্তা। যেহেতু কয়েকদিন আগে দেশে তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে তাই এই বিষয়ে কোনো ধরনের ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি আপাতত আসবে বলে মনে হয় না। এদিকে সাধারন মানুষ মনে করে, বাংলাদেশে কোনো পন্যের মূল্য নিয়ন্ত্রন করে সিন্ডিকেট যেখানে সরকার কোনো প্রভাব দেখাতে পারেন না।