বড় স্বপ্ন নিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছেড়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কিন্তু সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পারেননি সাকিবরা। যে দল সেমিফাইনালের স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিল, সেই দলই আগেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে। একের পর এক পরাজয়ে সেমিফাইনাল খেলার আশা শেষ হয়ে গেছে।
গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটের পরাজয়ের স্বাদ পায় সর্বশেষ বাংলাদেশ দল।
এখন পর্যন্ত সাত ম্যাচ খেলে এক জয় ও ছয় হারে পয়েন্ট টেবিলের নবম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। হাতে আরও দুটি ম্যাচ আছে টাইগারদের। ওই দুটি ম্যাচ শুধুমাত্র নিয়মতান্ত্রিক ম্যাচ, প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়া। এই দুটি নিয়মিত ম্যাচ খেলার পর আগামী বিশ্বকাপে চোখ রেখেই ঘরের মাটিতে ফিরতে হবে। তবে বিশ্বকাপ থেকে খালি হাতে ফিরবেন না সাকিব-লিটনরা। দলটি ফেরার আগে এই বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট থেকে বিপুল পরিমাণ পুরস্কারের অর্থও নিয়ে আসবে।
প্রথম রাউন্ড থেকে বাদ পড়া দলগুলোর জন্য রয়েছে বিপুল পরিমাণ পুরস্কারের অর্থ। বাদ পড়া ছয় দলের প্রত্যেকে পাবে ১ লাখ ডলার করে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১ কোটি ১০ লাখ টাকা করে। এছাড়া গ্রুপপর্বে যে ৪৫টি ম্যাচ হচ্ছে, সেখানে ম্যাচজয়ী দলগুলো পাবে ৪৩ লাখ ৮৯ হাজার টাকা করে। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের এখনও বাকি আছে দুটি ম্যাচ। আগামী ৬ নভেম্বর শ্রীলঙ্কা ও ১১ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শেষ করবে বাংলাদেশ। সে হিসেবে এখন পর্যন্ত হিসেবে করলে বাংলাদেশ পাচ্ছে দেড় কোটি টাকার মতো। শেষ দুই ম্যাচে জিততে পারলে টাকার অঙ্কটা বাড়বে আরও।
বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি এবারের বিশ্বকাপে এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেছে। ইভেন্টের চ্যাম্পিয়ন দল প্রাইজমানি হিসেবে পাবে ৪০ লাখ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪৪ কোটি টাকা)। আর যারা ফাইনালে হেরে যাবে, তাদের পকেটে যাবে চ্যাম্পিয়ন দলের অর্থের অর্ধেক। অর্থাৎ রানার আপ দল পাবে ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২২ কোটি টাকা)। সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়া দল দুটি পাবে ৮ লাখ ডলার করে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা করে।