মাঠে চলছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। সেখানেই থাকছেন দেশের ক্রিকেটাররা। কাগজে কলমে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন এখনো আছে। তবে এমন সময়ে শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রণালয় পুরো ক্রিকেট বোর্ডকে বরখাস্ত করেছে। বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে অপমানজনক পারফরম্যান্সের পর পুরো বোর্ড ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অন্তর্বর্তী কমিটিও করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের মতে, ভারতের বিপক্ষে ৩০২ রানের বিশাল হারের পর শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রণালয় রানিং বোর্ড বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ক্রীড়ামন্ত্রী রোশন রানাসিংহে শুক্রবার এক বিবৃতিতে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের গভর্নিং বডিকে “বিশ্বাসঘাতক এবং দুর্নীতিবাজ” বলে অভিহিত করে বলেছেন, বোর্ড সদস্যদের পদত্যাগ করা উচিত। এরপরই পদত্যাগ করেন ক্রিকেট বোর্ড সচিব। আর তার দুদিন পরই প্রকাশ্যে এল পুরো ক্রিকেট বোর্ডকে বরখাস্তের নতুন সিদ্ধান্ত।
এদিকে পুরনো কমিটি বরখাস্তের পরপরই সাত সদস্যের নতুন অন্তর্বর্তী কমিটি গঠন করা হয়েছে। শ্রীলঙ্কার হয়ে বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গা দায়িত্বে রয়েছেন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের প্রাক্তন সভাপতি উপলি ধর্মদাসা, অবসরপ্রাপ্ত বিচারক এসআই ইমাম, রোহিনী মারাসিংহে এবং ইরানগানি পেরেরা, আইনজীবী রাকিথা রাজাপাকসে এবং ব্যবসায়ী হিশাম জামালদিন।
এর আগে শনিবার পদত্যাগ করেন শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের (এসএলসি) সচিব মোহন ডি সিলভা। কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন এসএলসি সচিব। দলের ব্যর্থতায় তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এছাড়াও গত শুক্রবার, এসএলসি শ্রীলঙ্কার কোচিং স্টাফ-নির্বাচকদের কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে। যেখানে কুশল মেন্ডিসের দলের লজ্জাজনক পারফরম্যান্স নিয়ে উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করেছে ক্রিকেট বোর্ড। বিশেষ করে ভারতের বিপক্ষে শোচনীয় পরাজয়ের জন্য কোচিং স্টাফ ও নির্বাচকদের কাছে যথাযথ ব্যাখ্যা দাবি করেছেন তারা।
এসএলসি প্রেরিত প্রেস রিলিজ অনুযায়ী, এসএলসি ম্যানেজমেন্ট কখনই দল গঠনে হস্তক্ষেপ করে না। তারা কোচিং স্টাফ এবং নির্বাচকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার অনুমতি দিয়ে আসছে। তারপরও বিশ্বকাপের মতো মর্যাদাপূর্ণ আসরে শ্রীলঙ্কার পতন এবং সেখান থেকে উত্তরণের কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে।