শাহরূখ পূত্র আরিয়ান খান এবং ঐ ঘটনায় আরো ৬ জনকে বিচারিক হেফাজতে প্রেরন করা হয়েছে। চলমান মাসের (অক্টোবর) ১৪ তারিখ পর্যন্ত এই ৭ জনকে বিচারিক হেফাজতে রাখা হবে। গত ৭ই অক্টোবর দেয়া রায় ঘোষনা দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই সতীশ মানেশিন্দে যিনি আরিয়ানের আইনজীবী তিনি অন্তর্বর্তী ও পূর্ণ জা’মিনের জন্য আবেদন পত্র জমা দেন। গতকাল (শুক্রবার) অর্থাৎ ৮ অক্টোবর জা’মিনের শু’নানি হলেও আদালত তার জা’মিন মন্জুর করেন নি এবং শাহরুখের ছেলেকে কা’রা/গারে প্রেরন করে।
আপাতত, ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত আরিয়ানের জা’মিনে বেরোনোর কোন উপায় নেই। বর্তমানে তাকে আর্থার রোড কা’রা/গারে রাখা হয়েছে। বিশ্বের চলমান পরিস্থিতির নিয়ম অনুযায়ী তাকে সেখানে তিন থেকে পাঁচ দিন একা থাকতে হবে।
তারকার সন্তান নয় বরং একজন সাধারণ হা’/জ’তির মতোই তার জে’/ল ব’/ন্দী আয়োজন। কিন্তু জে’/লের মধ্যে আগামী কয়েক দিন আরিয়ান খানকে চলতে হবে রুটিন মেনে? আর সেই সময় বেঁ’ধে দেওয়া হলো জে’/ল থেকে।
প্রতিদিন ঘড়ি ধরে ঠিক ৬টায় ঘুম থেকে উঠিয়ে দেওয়া হবে প্রত্যেক অভিযুক্তকে। সকালের নাস্তা দেওয়া হবে সকাল ৭টার সময়। জে’লে যা রান্না হয়, অভিযুক্তরা যা খান তা-ই খাবেন। বাইরের খাবার সম্পূর্ণ নি’ষিদ্ধ। বেলা ১১টার মধ্যে অভিযুক্তদের দুপুরের খাবার দিয়ে দেওয়া হবে। দুপুর এবং রাতের খাবারের তালিকায় থাকবে রুটি, তরকারি, ডাল এবং ভাত। এর বাইরে আর কিছুই দেওয়া হবে না হা’জ/তবাসীদের।
খাওয়া-দাওয়ার পর জে’লের ভিতরেই হাজতবাসীদের হাঁটাচলা করতে দেওয়া হয়। কিন্তু আরিয়ান এবং তার সঙ্গীদের ক্ষেত্রে এখনও সেই নিয়ম প্রযোজ্য নয়। তিন থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে থাকার পর জেলের মধ্যে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ঘোরাফেরা করতে পারবেন তারা। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে আবার রাতের খাবার দিয়ে দেওয়া হবে।
আরিয়ান এবং তার যে সঙ্গীরা রয়েছেন তাদের জন্য যে নির্ধারিত খাবার বরাদ্দ রয়েছে, তারা যদি এই খাবারগুলোর বাইরে বেশি কোনো খাবার নিতে চান তাহলে তাদেরকে ক্যান্টিন থেকে টাকা দিয়ে কিনে নিতে হবে। মানি অর্ডার করার মাধ্যমে তারা সেখানে সেই টাকা আনিয়ে নিতে পারবেন। আরিয়ান খান বিলাসবহুল বাড়ি ‘মন্নত’ ছেড়ে আপাতত এইরকম ভাবে জে’/লে দিন কাটাবেন। ক্রুজ শিপের ঐ পার্টিই শাহরুখ পুত্রের জীবনকে বদলে দিয়েছে।