সম্প্রতি পুলিশের সাথে ঘটে গিয়েছে এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। তারা শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে যায়। তবে তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা আচমকা হামলা চালায় পুলিশের উপর। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা করার আগেই ১৫ পুলিশকে গণপিটুনি দিয়ে আহত করে তারা।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনয় থানার ওসিসহ ১৫ পুলিশ সদস্য ও ৩০-৩৫ বিএনপি নেতা আহত হন। শুক্রবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা ও পৌর বিএনপি মিছিল বের করলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান জানান, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাসনখালী উপজেলা ও পৌর বিএনপি, এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নে এ সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। তবে সকাল থেকে বাঁশখালীর প্রধান সড়কে অবস্থান নেন বিভিন্ন ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে পশ্চিম গুনাগরীতে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর প্রাঙ্গণে বিএনপির সমাবেশে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাধার মুখে পড়ে।
বিকাল ৪টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল থেকে প্রধান সড়কে এসে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের অতর্কিত লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণে আমাদের অন্তত ৩০-৩৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
পুলিশের গুলিতে ও হামলায় দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব পলাশ, ছাত্রদল নেতা এনাম, লুতু মেম্বার, তাহের গুরুতর আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
তবে বাঁশখালী থানার ওসি কামাল উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বিএনপির মিছিল থেকে গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করা হয়েছে। এ সময় পুলিশের বাধা দিলে তারা হামলা চালায়। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ পুলিশ সদস্য।
আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রী পুলিশ ও সারাদেশের দলীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেছিল, বিরোধী দলের নেতারা যে ভাবে মন চায় তদের মিছিল মিটিং চালিয়ে যেতে পারে কেউ যেন তাদের বাঁধা না দেয়। তবে বিরোধী দলের নেতারা দাবি করছে এটা প্রধানমন্ত্রীর নাটক। আমরা মিছিল নিয়ে বের হলেই প্রশাসন দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে।