টকার জন্য মানুষ কত কিনা করে। কেউ সৎ পথে আবার অনেকে অসৎ পথে। অনেক মানুষ আছে যারা টাকা জন্য মনুষ্যত্বের একেবারে নিম্ন স্থলেও নামতে দিধা করে না। সম্প্রতি টাকার জন্য বলি হতে হয়েছে মিনু নামে এক যুবতির।
ময়মনসিংহের ভালুকায় ঝোপ থেকে মিনু আক্তার (১৮) নামে ওই কিশোরীর লাশ উদ্ধারের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের সৎ বাবাসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে। টাকা না দেওয়ায় মেয়েকে শ্বাসরোধে হ/ ত্যার পর সৎ বাবা শফিকুল ইসলাম তাকে মাটিতে পুঁতে দেয়।
শনিবার (২৫ জুন) বেলা ১১টার দিকে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন এক সংবাদ মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২৪ জুন রাতে শফিকুল ইসলামকে কুড়িগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন শনিবার বিকেলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই দিন (শনিবার) বিকেলে ভালুকরের জমিরদিয়া এলাকা থেকে আরেক আসামি রিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার (২৬ জুন) দুপুরে রিপন মিয়াকে আদালতে পাঠানো হবে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ওসি কামাল হোসেন জানান, শফিকুল ইসলামের বাড়ি কুড়িগ্রামে। তিনি ভালুকায় থাকতেন। শফিকুল তার সৎ মেয়ে মিনুকে মেনে নিয়ে কয়েক বছর আগে মাহমুদা আক্তারকে বিয়ে করেন। মাহমুদা আক্তার একটি পোশাক কারখানায় এবং রফিকুল ভাঙ্গারি ব্যবসা করেন। মাহমুদা একটি পোশাক কারখানায় কাজ করে জমা দেন এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা। মা মাহমুদা তার মেয়ে মিনুর নামে টাকা জমা দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। শফিকুল বিষয়টি জানতে পেরে মাহমুদা আক্তারের কাছে টাকা চান। তবে টাকা দিতে অস্বীকার করেন তিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শফিকুল তার বন্ধু রিপনকে নিয়ে তার সৎ মেয়ে মিনুকে হ/ ত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ৮ জুন রাতে ঘুমন্ত মিতুকে বাড়িতে না থাকায় মা মাহমুদা আক্তার শ্বা/ সরোধ করে পাশের জঙ্গলে ফেলে দেন। পরদিন রাতে লাশ সীমানার ভেতরে একই এলাকার একটি কারখানায় নিয়ে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়।
অন্যদিকে মিনুকে যে মাটি ঢেকে রেখেছিল তা বৃষ্টিতে ভেসে গিয়ে তার পা অবশ হয়ে গেল। এইভাবে, 18 দিন পর, পুরো শরীর ভেসে গেল। পরে বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সকালে স্থানীয়রা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ওইদিন রাতেই ভালুকা থানায় একটি হ/ ত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ। পরে এ মামলায় তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে শফিকুলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রিপন মিয়াকে আটক করে পুলিশ।
এই ঘটনায় এলাকাবাসী সহ অনেকেই অভিযুক্ত আসামীর দৃষ্টান্ত শাশ্তির দাবি জানিয়েছে। এই ঘটনার সাথে জড়িত একজন ব্যক্তির নাম স্বীকার করেছেন। তদের সাথে আরো অন্য কেউ জাড়ত আছে কিনা সে বিষয়ে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।