বিয়ের অনেক রীতি রয়েছে, তার মধ্যে একটা স্বামীকে পণ দিতে হবে। তবে এখন বাংলাদেশ সরকারসহ বিশ্বের অনেক দেশ এটিকে বেআইনি ও অপরাধ বলে ঘোষণা করেছে। তবে এখনো এমন অনেক যায়গা রয়েছে যেখানে পণ রীতি এখনো চলমান। এছাড়া কিছু কিছু যায়গা এমনো রয়েছে যেখানে ছেলেদের পণ নয় মেয়েদের পণ দিয়ে বিয়ে করতে হয়। তারই সুযোগ নিয়ে এবার বিপাকে এক তরুণী। কথায় আছে অপরাধী যতই চালাক হক না কেন একদিন তাকে সাজা ভোগ করতেই হয়।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ফে/ সবুকের মাধ্যমে তরুণদের টার্গেট করা হয়েছে। প্রথমে ফে/ সবুকে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতেন ওই তরুণী। তিনি এক মাসের মধ্যে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেবেন।
সে ফাঁদে পা দিলে আরো কাছে চলে যেত। ঠিক যেমনটা ঘটেছে প্রসারণ নামের একজনের সঙ্গে। মাত্র দুই বছরে ১১ জনকে বিয়ে করেছেন এই তরুণী। তার বিয়ের পেছনে রয়েছে রহস্য! বিয়ে নিয়ে পাগল এই সুন্দরীর নাম জারিয়াপর্ণ নমন বুয়াই।
এই তরুণীর বাড়ি থাইল্যান্ডে। একটি রিসর্টে প্রসারনের সঙ্গে দেখা হয় ওই তরুণীর। তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কয়েক মাস পর ওই তরুণী প্রসারনকে জানান যে তিনি গর্ভবতী। প্রসারণও বিয়েতে রাজি।
বিয়ের জন্য ওই তরুণীকে ৬ হাজার ডলার দেন প্রসারণ। থাইল্যান্ডে বিয়ের সময় কনেকে অঙ্গীকার দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। প্রসারণের অভিযোগ, বিয়ের দুদিন পর ওই তরুণী জানান, পারিবারিক ব্যবসায় সাহায্য করতে তিনি গ্রামে যেতে চান।
তারপর আর ফিরে আসেনি। ঠিক তেমনই, বাকি যুবকের সঙ্গে বন্ধুত্ব, বিয়ে এবং তার কিছুদিনের মধ্যেই অন্য কোনও অজুহাতে আবারও বিয়ের পণ হেরে যায়।
এভাবে গত দুই বছরে ১১ জনের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন তিনি। তিনি কারো কাছ থেকে ৬০০০ ডলার আবার কারো কাছ থেকে ৩০০০০ ডলার ধার নিয়েছেন। পুলিশ জানায়, স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে এসব মামলার পরিকল্পনা করতেন তিনি। তাদের কাছ থেকে ৯০ হাজার ডলারের বেশি উদ্ধার করা হয়েছে। এই ১১ জন ছাড়াও ওই তরুণী আর কাউকে প্রতারণা করেছেন কিনা তা খতিয়ে দেখছে দেশটির পুলিশ। একইভাবে, কনের জন্য ১২ দিন, বরের জন্য একদিন। অবশেষে সেও পুলিশের হাতে ধরা পড়ে।
তার স্বামীরা প্রতারিত হয়ে একের পর এক টাকা আদায় করে পুলিশের কাছে যায়। বিভিন্ন অভিযোগ খতিয়ে দেখে পুলিশ বুঝতে পেরেছে, এক-দুজন নয়, 11 জন যুবতীকে একই ভাবে বোকা বানিয়েছে। সম্প্রতি ওই তরুণীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার আসল স্বামী থিতিরাত নোংহাপিটকও ধরা পড়েন।
পুলিশের কাছে ধরা খাওয়ার পর ওই নারী আসামী তার অপরাধ কবুল করেছে। তবে ভুক্তভোগী ও তরুণদের সাথে করা প্রতারণার অর্থের কি হবে সে বিষয়ে কোন তথ্য প্রকাশ করেনি সংবাদ মাধ্যমটি। এছাড়া ওই তরুণী মোট ১১ জনের সাথে এমন অসামাজিক কর্মকাণ্ড করেছে বলে সংবাদ সূত্রে জানা যায়, তবে পুলিশ বলছে ১১ জনের সাথে বিয়ে করে প্রতারণা ছাড়াও সে আরো অপরাধের সাথে যুক্ত থাকতে পারে আমরা সেটা খতিয়ে দেখবো।