বাংলাদেশেরর প্রধানমন্ত্রী হলেন জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। পরপর তিনবার জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়ে এসেছেন বাংলার ক্ষমতায় এবং বাংলার মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে সর্বদা কাজ করে যাচ্ছেন। তার মত একজন মানবদরদী প্রধানমন্ত্রী পাওয়া আসলেই বাংলার মানুষের সৌভাগ্যের একটি ব্যাপার। াওজস্র উন্নয়ন করার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছেন উন্নত বিশ্বের দিকে। সম্প্রতি জানা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচারের জবাব দিতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান করেছেন।
সরকার ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের যোগ্য জবাব দিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে এবং বাংলাদেশ বিশ্বে যে মর্যাদা ও সম্মান অর্জন করেছে, তার বাস্তব চিত্র তুলে ধরে মাথা উঁচু করে বিশ্বব্যাপী চলার জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া ভার্চুয়াল সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অবিলম্বে যোগ্য জবাব দিন। এই অপপ্রচারের পেছনে রয়েছে যুদ্ধাপরাধী ও জাতির পিতার প্রাণনাশকারীদের স্বজনরা। এর পাশাপাশি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া অর্থ পাচারকারীসহ বিভিন্ন অপরাধী জড়িত বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অধিকাংশ দুর্বৃত্তই অপকর্মে জড়িত থাকার জন্য চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছে বা অপরাধ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। যারা সরকার ও দেশ সম্পর্কে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে অন্যদের সবকিছু দিচ্ছেন তাদের চরিত্র ও অপকর্ম জনসমক্ষে তুলে ধরার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
সরকারপ্রধান বলেন, সরকার প্রবাসীদের কল্যাণে তিনটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছে। সংকটকালে দেশের পাশে থাকার শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি দেশে বিনিয়োগ বাড়াতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রবাসীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট এবং আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাজেটের আকারের তুলনামূলক চিত্র দেখলেই বিচার করা যায় কতটা উন্নয়ন হয়েছে। বিএনপি আমলে বাজেটের আকার ছিল মাত্র ৬০ হাজার কোটি টাকা। আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বশেষ বাজেট ছিল ছয় লাখ কোটি টাকার বেশি।
বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বদলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত প্রমাণ করেছে যে বাংলাদেশ যা বলে তা করার ক্ষমতা রাখে। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন, বিশ্ব ব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগ-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্বে আসন্ন তীব্র খাদ্য সংকট সম্পর্কে দেশবাসীকে সতর্ক করে দিয়ে ভবিষ্যতে তা এড়াতে সবাইকে বেশি করে খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, যেহেতু তীব্র খাদ্য সংকট আসন্ন, সেহেতু দেশে আপনার আত্মীয়-স্বজনদের বলুন, দেশের কোনো জমি অনাবাদি রাখা যাবে না।
আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের অধিকার রক্ষায় বিশ্বাস করে। সেনানিবাসের বন্দিদশা থেকে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
প্রসঙ্গত, বাংলার মানুষের শত বছরের স্বপ্নের সেতু পদ্মা সেড়ু নির্মাণ করে বাংলাদেশের ইতিহাসে ঘটিয়েছেন বিপ্লব। প্রধানমন্ত্রীর এত বড় অবদান বাংলার মানুষ কোনোদিন ভুলতে পারবেনা। এছারাও আরো অনেক সেতু, টানেল এবং রাস্তা-ঘাট নির্মাণ করে বাংলার মানুষের দুঃখ ও দুর্দশার করেছেন সমাধান। সাধারণ মানুষ আশা করছেন এবার নির্বাচনেও প্রধানমন্ত্রী জয়ী হয়ে দেশ ও মানুষের উন্নয়নে কাজ করে যাবেন।