Saturday , November 9 2024
Breaking News
Home / Countrywide / বিরুদ্ধে কথা বলে আমি অনুতপ্ত, আমি সাহস করে সত্য বলেছি: কাদের মির্জা

বিরুদ্ধে কথা বলে আমি অনুতপ্ত, আমি সাহস করে সত্য বলেছি: কাদের মির্জা

কাদের মির্জা একজন রাজনীতিবীদ। তিনি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে সমগ্র দেশ জুড়ে আলোচনায় উঠে এসেছেন। তার আরও একটি বিশেষ পরিচয় রয়েছে। তিনি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই। সম্প্রতি তার প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা জানালেন আবদুল কাদের মির্জা।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলছেন, সেতুমন্ত্রী ও আমার বড় ভাই ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশের একজন সফল রাজনীতিবিদ। আমার ব্যর্থতা হলো উনার মতো সফল রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে কথা বলা। বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে কথা বলে আমি অনুতপ্ত। আজ মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) রাত ৮টায় ফেসবুকে লাইভে এসে ‘সত্যবচনের’ এক বছরের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলেন তিনি।

কাদের মির্জা বলেন, আমার সত্য বচনের ফলে অনেক কিছুর পরিবর্তন এসেছে। তবে এর জন্য আমার বিরুদ্ধে এক অপশক্তির বলয় তৈরি করা হয়েছে। যাদেরকে আমি হাতে ধরে রাজনীতিতে এনেছি তারাই নিজের স্বার্থে আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল, কিন্তু আমার জন্য শান্তির সংকেত ছিল মানুষের ভালোবাসা। তিনি আরও বলেন, যেসব কথা কেউ বলতে পারে নাই তা আমি বলেছি। অপশক্তির বিরুদ্ধে মানুষ বলতে চায়, কিন্তু সবাই পারে না। আমি সাহস করে সত্য বলেছি। তাই জনগণ আমাকে গ্রহণ করেছে। সফলতা ব্যর্থতা থাকবে তাই বলে সত্য বলা থেকে বিরত থাকব না। লাইভে কাদের মির্জা তার সফলতার মধ্যে গত ১৬ জানুয়ারি বসুরহাট পৌরসভার নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে গৃহীত ভোটের ৭৭ ভাগ ভোট পাওয়াকে সবচেয়ে বড় সফলতা হিসেবে উল্লেখ করেন। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীকে বাদ দেওয়াও তার সফলতা বলে উল্লেখ করেন বসুরহাট মেয়র।

আবদুল কাদের মির্জা নির্বাচনে অংশ গ্রহনের পর থেকেই প্রায় সময় দল প্রসঙ্গে বিভিন্ন কথা বলে তর্ক-বির্তকের সম্মুখীন হয়েছে। এবং নিজের ভাইকে নিয়ে জানিয়েছিলেন বভেশ কিছু কথা। তবে সম্প্রতি তিনি বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে কথা বলে নিজের মধ্যে অনুতপ্ত বোধ করছেন।

About

Check Also

জেলে থেকে শত কোটি টাকার মালিক আলমগীর

লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি এবং সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য আলমগীর হোসেন ও তার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *