সম্প্রতি একটি ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে তুমুল সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। ঘটনা সুত্রে জানা যায়, পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সকল শিক্ষার্থীরাই নিয়ম মেনে ফোন করেছিল। তবে পরীক্ষার দিনে দেখা যায় প্রতিষ্ঠানটিতে উপস্থিত হয়নি এক শিক্ষার্থী ও। যে ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার উত্তর কুটিচন্দ্রখানা দাখিল মাদ্রাসায়। ওই মাদ্রাসার সাতজন শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করলেও কেউ পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। তারা সবাই মহিলা প্রার্থী। সবাই বিবাহিত। এ কারণে তারা পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
শনিবার গণিত পরীক্ষার সময় কেন্দ্রে গিয়ে তাদের অনুপস্থিত পাওয়া যায়। এর আগে তারাও প্রথম দিন বৃহস্পতিবার কোরআন মজিদ ও তাজবিদ বিষয়ে অনুপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশের মতো কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায়ও ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবার ফুলবাড়ীর ১৯টি মাদ্রাসার ৫০৪ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশগ্রহণের কথা ছিল। দাখিল পরীক্ষার কেন্দ্র শাহবাজার এএইচ ফাজিল মাদ্রাসা। প্রথম দিনে সাতজন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিখোঁজ পরীক্ষার্থীরা সবাই উত্তর কুটিচন্দ্রখানা দাখিল মাদ্রাসার পরীক্ষার্থী। উত্তর কুটিচন্দ্রখানা দাখিল মাদ্রাসাটি নন-এমপিও। ওই মাদ্রাসার সাতজন পরীক্ষার্থীর সবাই বিবাহিত তাই পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
এদিকে উত্তর কুটিচন্দ্রখানা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাজাহার আলী জানান, পরীক্ষার্থীরা সবাই বিবাহিত। এ কারণে কেউ পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। তিনি সবাইকে পরীক্ষা দিতে বলেন। কিন্তু কেউ আসেনি।
পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব আবুল কাশেম সরকার জানান, প্রথম পরীক্ষায় সাত শিক্ষার্থী অনুপস্থিত পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপারকে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
যদিও ঘটনা সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি মাদ্রাসাটি সুপার। অনেক সংবাদমাধ্যম এই বিষয় নিয়ে ওই মাদ্রাসার সুপারের সাথে আলোচনা করার চেষ্টা করলে বারবার তারা ব্যর্থ হয়। যদিও কুটিচন্দ্রখানা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাজাহার আলী সংবাদমাধ্যমে নিশ্চিত করেছে যে তিনি সকল বিবাহিত ছাত্রীদেরকে পরীক্ষায় অংশ নিতে বলেন, তবে কেউ অংশ নেয় না এতে তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।