দক্ষিণের সিনেমার বর্তমান সময়ের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু যিনি কিছুদিন আগে অসুস্থতার জন্য সংবাদের শিরোনাম হয়েছিলেন। এমনকি তার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যুক্তরাষ্ট্রে নেয়া হচ্ছে, এমনটাই জানানো হয়েছিল ভারতীয় বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে। তবে তার ঘনিষ্ঠ জনেরা তারা অসুস্থতা সম্পর্কে বলেন, খবরটি ভিত্তিহীন এবং শুধু একটি গুঞ্জন। অবশেষে সেই গুঞ্জনই সত্যি হলো। সামন্থা প্রভূ একটি বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে নিজেই এ খবর জানিয়েছেন তিনি।
অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু নিজেই ইনস্টাগ্রামে র”ক্তনালীতে ঢোকানো ওষুধের টিউবের ছবি প্রকাশ করে একথা জানিয়েছেন। মায়োসাইটিস নামের একটি রোগ বাসা বেঁধেছে শরীরে। সামান্থা তার ছবির সাথে একটি বিবরণীও প্রকাশ করেছেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন যে ‘যশোধরা’-এর ট্রেলার দেখে ভক্তদের প্রতিক্রিয়া দেখে অভিভূত হয়েছেন। সেখান থেকেই জীবনের সব প্রতিকূলতার মুখোমুখি হওয়ার সাহস পায় সে। প্রতিকূলতার কথা বলতে গিয়ে নিজের অসুস্থতার কথা তুলে ধরেন দক্ষিণী তারকা।
লিখেছেন, কয়েক মাস আগে আমার একটি অটো ইমিউন ডিজিজ ধরা পড়ে। রোগটিকে মায়োসাইটিস বলা হয়। ভেবেছিলাম সুস্থ হওয়ার পরই এ বিষয়ে জানাবো। কিন্তু যা ভেবেছিলাম, সুস্থ হতে তার থেকে বেশি সময় লাগছে।
ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের মতে, মায়োসাইটিস এমন একটি রোগ যেখানে রোগীর ইমিউন সিস্টেম ভুলবশত সুস্থ পেশীকে শত্রু হিসেবে আক্রমণ করে। এই বিরল অবস্থা পেশীর দুর্বলতা সৃষ্টি করে। ব্যথাও শুরু হয়। রোগী মাঝে মাঝে পড়ে যেতে পারেন। একটানা দাঁড়িয়ে থাকলে বা দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে শরীর ক্লান্ত লাগে।
সামান্থা বলেন, চিকিৎসকরা নিশ্চিত যে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। কিন্তু শারীরিক ও মানসিকভাবে তার মধ্যে প্রবল টানাপোড়েন চলছে। মাঝে মাঝে তার মনে হয় তিনি আর একদিনও সহ্য করতে পারবেন না। কিন্তু তারপরও তাকে সেই মুহূর্ত পেরিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। সামান্থার আশা, এভাবে অসুস্থতার দিনও কেটে যাবে। চলতি সপ্তাহে মুক্তি পেয়েছে তার আগামি ছবি ‘যশোধরা’-এর ট্রেলার।
কয়েক মাস আগে সামান্থা রুথ প্রভুর বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে নাগার্জুনের পুত্রের সাথে। মাঝে মাঝে সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ পায় যে, তিনি বিয়ের পিড়িতে বসতে যাচ্ছেন। সংবাদমাধ্যমে এমন খবর আসলেও এখন পর্যন্ত তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হননি। এরই মধ্যে তার এই বিরল রোগ ধরা পড়লো, যেটা তার জীবনে একটা বড় প্রভাব ফেলতে পারে এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসকেরা।