বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার একটি এলাকায় সাকলাইন খান ওরফে মাহমুদুল হাসান নামের ১৯ বছর বয়সী এক কলেজছাত্র এক স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীর সাথে খারাপ কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। মেয়েটিকে বিয়ের কথা বলে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে মেয়েটিকে একাধিকবার খারাপ কাজ করেছে বলে মামলার সূত্রে জানা গেছে। এ ঘটনার পর ঐ অভিযুক্ত কলেজ ছাত্রকে গ্রে’ফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে ঐ ছাত্রীর মা বাদী হয়ে শেরপুর থানায় নারী সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করেন। এরপরই অভিযুক্তকে গ্রে’ফতার করা হয়।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে আদালতের নির্দেশে সাকলাইনকে কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি উপজেলার পান্তাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
মামলার সূত্র জানায়, চার মাস আগে একই এলাকার কলেজছাত্র সাকলাইন খান ওরফে মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর সাকলাইন বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই ছাত্রীকে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। তবে বিয়ের জন্য চাপ দিলে নানা অজুহাত দেখিয়ে তালবাহানা শুরু করে। ঐ ছাত্রী বলেন, সে আমাকে বিয়ে করার কথা বলে সবকিছু চাইলে, আমি সরল বিশ্বাসে অসম্মতি জানাতে পারিনি। কিন্তু সে এখন আর বিয়ে করতে চাইছে না।
গত সোমবার (২৮ নভেম্বর) রাতে বাসায় কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে ওই স্কুলছাত্রীকে আবারও খারাপ কাজ করে সাকলাইন। এ ঘটনা জানার পর ঐ ছাত্রীর মা বাদী হয়ে শেরপুর থানায় নারী সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করেন।
আতাউর রহমান খন্দকার যিনি শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তিনি ঘটনার বিষয়ে বলেন এই ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা থানায় এসে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপর সন্ধ্যার আগে আদালতের আদেশ অনুযায়ী জেলহা’জতে প্রেরণ করা হয়েছে। তাছাড়া ওই মেয়েটিকে তার স্বাস্থ্যগত বিষয়ে পরীক্ষা করার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।