দীর্ঘদিন প্রেমের পর অনেকটা আড়ালেই ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে সংসার পাতেন ছোট পর্দার তুমুল জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল হক পলাশ। তবে ভক্তদের মাঝে ‘কাবিলা’ নামেই অধিক পরিচিতি পেয়েছন তিনি। তবে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর শুভ কাজের সংবাদটি ভক্তদের মাঝে শেয়ার করলেও তিনি করেন আরো মাস চারেক আগে।
খবরটি এতদিন পর প্রকাশ্যে আনার কারণটা জানালেন হাজারও ভক্তের প্রিয় এই অভিনেতা।
পলাশের ভাষ্যমতে, গত ৫ আগস্ট চুক্তি স্বাক্ষরের পর ভেবেছিলাম সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের দিকে অনুষ্ঠানটি করব। কিন্তু আমার দৌলা ভাই (বোন) দেশের বাইরে ছিলেন, আমাদের ব্যাচেলর পয়েন্টের শেষ লটের শুটিং, এতকিছুর পরেও শো সেট করতে পারছিলাম না। এদিকে ঘোষণাটাও দেরি হয়ে যাচ্ছিল। পরে ভেবেছিলাম বিজয় দিবসেই ঘোষণা দেব।
নাফিসাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়ে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন পলাশ। তিনি বলেন, অভিনেতা বলছিলেন, ‘নাফিসা আমার মায়ের খালাতো বোনের মেয়ে। আমরা একে অপরকে বহু বছর ধরে চিনি। অনেক বছর ধরে দুজনের যোগাযোগ। আমরা কখনই পুরোপুরি যোগাযোগের বাইরে ছিলাম না। কিন্তু গত দুই বছরে যোগাযোগ ছিল অনেক বেশি। এই সময়ে আমরা একে অপরের কাছাকাছি এসেছি।’
এই অভিনেতা বলেন, আমাদের বাবা-মাও মনে মনে বিয়ে ঠিক করেছিলেন। তাঁর কথায়, ‘আমরা জানতাম না যে আমার বাবা-মা এবং তাঁর বাবা-মা ভিতরে ভিতরে এই পরিকল্পনা করেছিলেন। বিয়ের পর তারা খুব খুশি। তাদের আশা পূরণ হয়েছে। বাবা-মাকে খুশি দেখে আরও ভালো লাগে। আমার বাড়ি এখন খুশি। বিয়ের পর হাউসফুল সেলিব্রেশন চলছে। যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।
ছোট পর্দায় ‘কমেডিয়ান’ চরিত্রে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে সবার নজরে আসেন জিয়াউল হক পলাশ। আর এরই ধারাবাহিকতার জের ধরে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে যান তিনি।