বিয়ের দাবিতে প্রেমিকাকে বাড়িতে নিয়ে আসে প্রেমিক এরপর প্রেমিকার সাথে ঘটে অমানবিক ঘটনা। প্রেমিকের পরিবারের সদস্যরা এবং ঐ প্রেমিকাকে নি’/র্যা”তন ও শ্লীল’/তাহানি করায় ওই প্রেমিকসহ তার পরিবারের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে গোপালপুর এলাকার হাজার হাজার বাসিন্দা। গতকাল মঙ্গলবার অর্থাৎ ১১ ই অক্টোবর বিকেলের দিকে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলা পরিষদ চত্বর এবং হাসপাতাল ঘেরাও করে বিক্ষুব্ধ জনতা এবং সেইসাথে তারা বিক্ষোভ শুরু করে।
জানা যায়, দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার কেশবপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের মেয়ে ফৌজিয়া আক্তার তানিয়ার সঙ্গে গোপালপুর উপজেলার সুতি নয়াপাড়া গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে বরাতুল ইসলাম শিমুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা দুজনই গাজীপুরে একটি গার্মেন্টসে কাজ করতেন।
পরিনয়কে বিয়েতে রূপান্তর করতে মা-বাবার মতামত নিতে ২৯ সেপ্টেম্বর তানিয়াকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসে শিমুল। কিন্তু বাবা-মা রাজি না হওয়ায় বিয়ে হয়নি। শিমুলের বাড়িতে অবস্থান করতে থাকে তানিয়া।
গত ১ অক্টোবর গ্রামে সালিশ বৈঠকে শিমুলকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। কিন্তু তানিয়া বিয়ে না করে কাজে ফিরে যেতে রাজি হননি।
সুতি নয়াপাড়া গ্রামের হাবেল উদ্দিন জানান, এক সপ্তাহ ধরে না খেয়ে ওই বাড়িতেই থাকছিলেন তানিয়া। মঙ্গলবার সকালে গোপালপুর থানা পুলিশ তানিয়ার খোঁজ খবর নিতে বাড়িতে গেলে শিমুলের মামা এরশাদ আলী, চাচাতো ভাই শাকিল, দুই খালা জল্পনা খাতুন ও আল্পনা খাতুন মিলে তানিয়াকে বেধড়ক মা”রধর করে চুল ধরে টেনেহিঁ’চড়ে ঘর থেকে বের করে দেয়। এতে করে তার জামাকাপড় ছিঁড়ে যায়।
পৌর কাউন্সিলর শামছুল আলম জানান, তানিয়ার চিৎ’/কারে স্থানীয়রা ছুটে এসে পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে। পরে হাজার হাজার গ্রামবাসী এই নি’/র্যা”তনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করে। তারা আহ’ত তানিয়াকে রিকশায় তুলে বিক্ষো’ভ মিছিল নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও করে।
সুতি নয়াপাড়া গ্রামের রাসেল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মীর রেজাউল হক ছেলের পক্ষের সাথে প্রশাসনিক পর্যায়ে বিভিন্নভাবে দরকষাকষি করলে ছেলে পক্ষ সমঝোতার পরিবর্তে ক্ষি”প্ত হয়ে ওঠে। ফলে নারী নি’/র্যা”তনের এ ঘটনা ঘটেছে। এই নি’র্যা’/তনের দায় সে এড়াতে পারে না।
মীর রেজাউল বলেন, তিনি সব সময় সমাধানের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ছেলে রাজি না হওয়ায় বিষয়টি মীমাংসা হয়নি।
তাপস সাহা যিনি ওই হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক হিসেবে রয়েছেন, তিনি মেয়েটির শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানান, মেয়েটির শরীরে নি/’র্যা”তনের চিহ্ন রয়েছে। তার শরীরের অবস্থা খুব বেশি ভালো না, তবে টেনশনের কিছু নাই। এ ঘটনার পর সন্ধ্যায় গোপালপুর থানায় নারী সংশ্লিষ্ট আইনে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। মোঃ মোশারফ হোসেন গোপালপুর থানার ওসি হিসেবে রয়েছেন, তিনি জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে, তাই দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।