বর্তমান সময়ে মাঝে মাঝে সংবাদ মাধ্যমে একটি বিষয় উঠে আসছে আর সেটা হলো বিয়ের দাবি নিয়ে কিশোরী, তরুনী কিংবা বিবাহিত নারীদের প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান। এই ঘটনার পর অনেকে তার প্রেমিককে বিয়ে করতে সক্ষমও হয়ে থাকেন। এবার তেমনই একটি ঘটনা ঘটলো বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার একটি এলাকায়।
উপজেলার পুলিশের সঙ্গে বিয়ের দাবিতে থানায় অনশনে বসেছেন এক তরুণী। ওই পুলিশ সদস্যদের নাম মো. আসাদ। আসাদ তালতলী থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত। অনশনরত ওই তরুণী পুলিশ সদস্য আসাদের সাবেক স্ত্রী। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) রাত থেকে তালতলী থানায় অনশন করছেন ওই তরুণী।
জানা যায়, ২০১৯ সালে বরগুনা বেতাগী থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় আসাদের ফে”সবুকে পরিচয় হয় এক তরুণীর। পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তাদের বিয়ে হয়। পারিবারিক ক”লহের কারণে ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে তারা আলাদা হয়ে যায়। বিচ্ছেদের পরও আসাদ ওই তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। পরে আবার বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই তরুণীর সঙ্গে শারী”রিক সম্পর্ক করে। তারপরও বিয়ে না হওয়ায় গত রাত থেকে তালতলী থানায় অনশনে বসেন ওই তরুণী।
অনশনে বসে থাকা ওই তরুণী বলেন, প্রথম বিয়ের পর আসাদ আমাকে তালাক দেন। পরে আবারও সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য ব্ল্যাকমেইল করে এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শা”রীরিক সম্পর্ক করে। এখন বিয়ের দাবিতে তালতলী থানায় আছি।
অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল মো. আসাদ বলেন, আমাদের মধ্যে ঝা”মেলা ছিল। তারপরও আমরা যোগাযোগ রাখতাম। আমাদের মধ্যে আর কোনো ঝামেলা নেই। ছুটিতে বাড়ি গিয়ে বিয়ে করব।
এ বিষয়ে শাখাওয়াত হোসেন তপু যিনি তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি ঘটনার বিষয়ে বলেন, বিয়ের দাবি নিয়ে একজন তরুনী গতকাল রাতের দিকে হঠাৎ করে থানায় আসে। এবং বলে যে, তিনি পুলিশ সদস্য আসাদকে বিয়ে করতে চান। তবে আসাদ বিয়ের জন্য রাজি হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আমরা কথা বলে দেখছি।