চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি বেশ জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে জি এস বদরুদ্দিন আহমেদের (রাহী) সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবধ্য হন বাংলা ছোট পর্দার খুবই সাড়া জাগানো অভিনেত্রী সারিকা সাবরিন। কিন্তু দাম্পত্য জীবনের এক বছর না যেতেই ঘটে গেল অপ্রত্যাশিত এক ঘটান।
জানা গেছে, বছর না ঘুরতেই তাঁর সংসারে ভাঙনের সুর। বেশ কিছুদিন ধরেই স্বামীর কাছ থেকে দূরে রয়েছেন সারিকা। সে তার বাবা-মায়ের সাথে থাকে। স্বামীর প্রতি তিক্ততা এতটাই তীব্র হয়ে ওঠে যে অভিনেত্রী আদালতের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হন। সারিকা গতকাল তার স্বামী জিএস বদরুদ্দিন আহমেদের (রাহি) বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবি ও মারধরের অভিযোগে মামলা করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে রাহীর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার আবেদনে সারিকা দাবি করেন, গত ২ ফেব্রুয়ারি পারিবারিকভাবে সারিকা ও বদরুদ্দিনের বিয়ে হয়। বিয়েতে ২০ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করা হয়। বিয়ের সময় সারিকার বাবা-মা বদরুদ্দিনকে ২৫ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার ও ঘরের সব আসবাবপত্র উপহার দেন। বিয়ের কয়েকদিন পর আসামি বদরুদ্দিন বাদী সারিকার পরিবারের কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে এবং তাকে মারধর শুরু করে। গত ৫ নভেম্বর আসামি বদরুদ্দিন ভিকটিম সারিকাকে ৫০ লাখ টাকা যৌতুক আনতে বলেন।
যৌতুক না দেওয়ায় সারিকাকে এক কাপড়ে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে গত ১৯ নভেম্বর ঢাকার ধানমন্ডিতে একটি সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কথোপকথনের একপর্যায়ে আসামি বলেন, ব্যবসার জন্য তাকে ৫০ লাখ টাকা দিতে হয়েছে। টাকা না দিলে সারিকার সাথে বসবাস না করে তাকে তালাক দিয়ে আরো যৌতুক নিয়ে অন্য কোথাও বিয়ে করবে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সারিকার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে সারিকা বলেন, ‘এভাবে চলতে পারে না। তিনি সবকিছুর জন্য আমার উপর নির্ভর করেছিলেন। আপাতত এর বেশি কিছু বলতে চাই না। আমি মামলার পরবর্তী আপডেট পেলে আপনাকে জানাব।
উল্লেখ্য, বিজ্ঞাপনে মডেলিংয়ের মধ্যদিয়ে মিডিয়ায় যাত্রা শুরু করেন সারিকা সাবরিন। এরপর ২০০৮ সালে ‘ক্যামেলিয়া’ নাম একটি নাটকে অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে অভিনয়ের ভুবনে পার রাখেন তিনি।