খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার একটি গ্রামে বিয়ের এক মাস পার হতে না হতেই দুলাভাইয়ের সঙ্গে শ্যালিকা ভেগে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনার পর ঐ এলাকায় আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। গত শনিবার অর্থাৎ ১৪ জানুয়ারি সকালের দিকে পাইকগাছা থানায় এ ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
পালিয়ে যাওয়া দু’জন হলেন সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খড়িয়াটি গ্রামের লুৎফর রহমানের ছোট মেয়ে আয়েশা ও তার দুলাভাই আরিফুল পাইকগাছার বাঁকা গ্রামের বাসিন্দা।
শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি, প্রেমের টানে গত ১০ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে সোহেল রানার বাড়ি থেকে দুলাভাই তার শ্যালিকাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ না পেয়ে শ্বশুর আব্দুল হাকিম গাজী শনিবার (১৪ জানুয়ারি) পাইকগাছা থানায় অভিযোগ করেন।
শ্যালিকার শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানান, গত বছরের ৮ ডিসেম্বর আয়েশার সঙ্গে সোহেল রানার বিয়ে হয়। তিনি পাইকগাছার বৃত্তি গোপালপুর গ্রামের হাকিম গাজীর ছেলে।
আয়েশার শাশুড়ি হাসিনা বেগম জানান, আমার ছেলের বউয়ের সঙ্গে তার দুলাভাই আরিফুল ইসলামের দীর্ঘদিনের প্রেম। এ নিয়ে স্থানীয় একাধিক সালিশ বৈঠক হয়েছে। তাদের সম্পর্ক কোনোভাবেই ছিন্ন করতে পারেনি।
আয়েশার স্বামী সোহেল রানা দাবি করেন, বিয়ের প্রায় এক মাস পর আয়েশা টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে দুলাভাইয়ের সঙ্গে ভেগে গিয়েছে। তাদের এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
অভিযোগের বিষয়ে দুলাভাই আরিফুল বলেন, আমি আমার বাড়িতেই আছি। আমার সঙ্গে আয়েশার কোনো যোগাযোগ নেই। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।
জিয়াউর রহমান যিনি পাইকগাছা থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি ঘটনার বিষয়ে বলেন, এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি। থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করেছেন একটি পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। আসল ঘটনা শীঘ্রই জানতে পারবো।