বিভিন্ন যানবাহনে বিভিন্ন সময় দেখা যায় যাত্রীদের মধ্যে ঝামেলা বাঁধার। তবে এমন কি শুনেছেন বিমানের যাত্রীদের মধ্যে ঝামেলা বাধাঁর মত ঘটনা তাও আবার হাতাহাতি! সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিমানে। ঘুসি মেরে মুখ ফাটিয়ে দিলেন সাথে আবার থুতুও নিক্ষেপ করলেন এক পুরুষের মুখে একজন নারী যাত্রী। ইস্যুটা ছিল মাস্কের তবে কারণ ছিল অন্য।
শেষ হয়েও হচ্ছে না শেষ মহামারী করোনা, বরং নতুন রুপে নতুন ধরণে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত। এমন পরিস্থিতিতে এবার চলন্ত বিমানে মাস্ক না পরা নিয়ে দুই পক্ষের তুমুল ঝগড়া ও গায়ে হাত তোলার ঘটনা ঘটলো। এ ঘটনা ঘটে বিমানযাত্রীদের উভয়েই একে অপরকে মাস্ক পরতে বলায়। তবে যে দু’জনের থেকে বিবাদের সূচনা তাদের কারোই মাস্ক ছিলো না। খবর এনবিসি নিউজের।
যুক্তরাষ্ট্রের এ ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা ঘেছে, কথা কাটাকাটির মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে এক নারী ঘুষি মেরে তার গায়ে থুতু ছিটিয়ে দেন অপরজনকে। আর এ ঘটনার ভিডিও নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে। টাম্পা থেকে আটলান্টা যাওয়ার বিমানে এই অবাক করা ঘটনাটি ঘটে। এতে সহযাত্রীকে মারধর করা ও তার গায়ে থুতু ছেটানোর অভিযোগে নারী যাত্রীকে গ্রেফতার করে এফবিআই।
এনবিসি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, গত ২৩ ডিসেম্বর বিমানে থাকা ৫১ বছর বয়সী নারী প্যাট্রিসিয়া কর্নওয়াল টয়লেট থেকে তার আসনে ফিরে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তার যাওয়ার পথে একটি পানীয়ের টেবিল রাখা থাকায় একজন বিমান সেবক তাকে কিছুক্ষণের জন্য একটি ফাঁকা আসনে বসতে অনুরোধ করেন। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হলে সামনে বসা অপর এক যাত্রী ওই নারী যাত্রীকে চুপ করার পরামর্শ দেন।
এরপরে ওই ব্যক্তির সঙ্গেও কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। নারী চিৎকার করে ওই ব্যক্তিকে মাস্ক পরতে বলেন। ওই ব্যক্তিও পাল্টা গালাগালি করে নারীকে মাস্ক পরতে বলেন। দু’জনের কেউই মাস্ক পরে ছিলেন না। এরপর কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্যাট্রিসিয়া ওই ব্যক্তির উপর চড়াও হয়ে ঘুষি মারেন। এর পরে বিমানের ক্রু-সদস্যরা তাকে আটকানোর চেষ্টা করলে তিনি ওই ব্যক্তির উপর থুতু ছেটাতে শুরু করেন। একজন সহযাত্রী গোটা ঘটনাটি ফোনে রেকর্ড করেন। পরে এই ভিডিও অনলাইনে ভাইরাল হয়েছে।
সর্ব শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেই নারী যাত্রী কে তুলে নিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র পুলিশ। তবে তাকে কি সাজা দেওয়া হয়েছে সে ব্যাপারে এখনো জানা যায়নি। ভুক্তভোগী পুরুষের পরবর্তী অবস্থা সম্পর্কেও তেমন কিছু আর পরবর্তীতে শোনা যায়নি।