সম্প্রতি সাপ জয়ী নারী ফুটবলারদের নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। যতটা মানুষ খুশি হয়েছে বাংলাদেশের জন্য তাদের এই সাফল্য নিয়ে, ততটাই দুঃখ প্রকাশ করছে তাদের হারিয়ে যাওয়া বহু মূল্যবান অর্থ সম্পদের জন্য। সংবাদ মাধ্যম দ্বারা জানা যায়, এই নারী ফুটবলারদের মধ্যে অনেকেই নগদ অর্থ ও বৈদেশিক ডলার চুরি হয়েছে। যে ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়।
দক্ষিণ এশিয়ায় দেশকে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট এনে দিয়েছেন বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা। তবে দেশে ফেরার পর (বুধবার) তাদের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটে। বিমানবন্দরে বাংলাদেশ দলের দুই ফুটবলার কৃষ্ণা রানী সরকার ও শামসুন্নাহারের লাগেজ ও ডলার ও টাকা চুরি হয়েছে। নেপাল থেকে সাফ খেতাব নিয়ে দেশে ফেরার সময় কৃষ্ণা ও শামসুন্নাহারসহ বেশ কয়েকজন ফুটবলারের ব্যাগ থেকে নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি হয়। এ সময় কয়েকজনের লাগেজের তালা ভাঙা দেখা যায়। এছাড়াও, দলের ফিজিওর ব্যাগ থেকে কিছু জিনিসপত্র খোয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে ফুটবলারদের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফফে)। কৃষ্ণা রানী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দেশে আসার পর আমাদের জন্য একটি বড় ঘটনা ছিল। এ জন্য আমরা আমাদের হ্যান্ডব্যাগটি বড় লাগেজের ভেতরে রেখেছিলাম। পরে রাতে মালপত্র নিয়ে খুলতেই দেখি ভেতরে ছোট ব্যাগের চেইন খোলা।
হারানো টাকার পরিমাণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমার ব্যাগে ছিল ৯০০ ডলার, শামসুন্নাহারের ৪০০ ডলার ও আরও কয়েকজনের ডলার। যার মূল্য বাংলাদেশি টাকায় আড়াই লাখ টাকা। ব্যাগে কিছুই নেই। এছাড়া দলের কোচিং স্টাফরা জানান, মার্জিয়ার ব্যাগ থেকে কিছু নেপালি মুদ্রা খোয়া গেছে।
বিমানবন্দরে সংবর্ধনা দেওয়ায় ফুটবলাররা নিজেদের ব্যাগ সংগ্রহ করতে পারেননি। বাফ প্রতিনিধিরা সেখান থেকে ব্যাগগুলো সংগ্রহ করেন। রাতের সংবর্ধনা শেষে ফুটবলাররা তাদের লাগেজ গ্রহণ করলে বিষয়টি সবার নজরে আসে। নগদ টাকার পাশাপাশি অনেকের লাগেজের তালাও ভেঙে গেছে বলে জানান বাফুফ। ফুটবলাররা সেই লাগেজে তাদের প্রিয়জনের জন্য শাড়ি, প্রসাধনীসহ মূল্যবান উপহার নিয়ে আসেন।
এ বিষয় নিয়ে এক পাঠক তার মন্তব্যে জানিয়েছে, ঘটনাটি খুব দুঃখ জনক. একদিকে শুভেচ্ছার নামে উত্তেজনা অন্যদিকে মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাটের মধ্যে কোনো মিল খুঁজে পাচ্ছি না। এত উত্তেজনার কী দরকার এবং এই খেলোয়াড়দের মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে কী লাভ? এই ঘটনা জাতি হিসেবে আমাদের ছোট করে ।
সংবাদে বলা হয়, বাফুফ জানিয়েছে, কৃষ্ণা রানী সরকারের ব্যাগ থেকে ৯০০ ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫২ হাজার টাকা) এবং নগদ 94 হাজার টাকা চুরি হয়েছে। শামসুন্নাহার সিনিয়রের ব্যাগ থেকে ৪০০ ডলার হারিয়ে গেছে ( যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪২ হাজার টাকা। নগদ টাকার পাশাপাশি অনেক লাগেজের তালাও ভাঙা হয়েছে বলে বাফুফ জানায়।সেই লাগেজে ফুটবলাররা তাদের প্রিয়জনের জন্য শাড়ি, প্রসাধনী ও মূল্যবান উপহার নিয়ে আসেন। এরা দেশের জন্য পদক এনেছে, দেশের গর্ব উত্তেজনার মাঝে এই অপকর্ম করলো।বাংলাদেশী ক্রিকেট এখন তলানিতে গিয়ে উচ্ছ্বসিত। ফুটবলের সাফল্য কি সেই উত্তেজনার শিকার হবে?