মাহবুব আলী যিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে রয়েছেন তিনি বলেছেন, রাজধানী ঢাকার খুব নিকটেই ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর’ নামকরনের মাধ্যমে একটি নতুন অত্যাধুনিক বিমানবন্দর নির্মাণ করার পরিকল্পনা গ্রহন করতে চলেছে সরকার। আজ রবিবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালে তিনি এই কথা বলেন। শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনটিতে ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ নুরুজ্জামান বিশ্বাস এই বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন।
একই প্রশ্নের লিখিত জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংস্কারের পর ঈশ্বরদী বিমানবন্দর আবার চালু করবার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। ঈশ্বরদী বিমানবন্দর গড়ে তোলার জন্য মোট ৪৩৬.৬৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৯০.৭৪ একর সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিএএ) দখলকৃত অবশিষ্ট ১৪৫.৯১ একর জমির মধ্যে রয়েছে টার্মিনাল বিল্ডিং, রানওয়ে, ট্যাক্সিওয়ে, এপ্রোন, নেভিগেশন সরঞ্জাম, যোগাযোগ সরঞ্জাম, স্টাফ কোয়ার্টার এবং বিমানবন্দর অ্যাক্সেস রোড সহ অন্যান্য সুবিধা।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ঈশ্বরদী বিমানবন্দরে মিলটারি ফার্মকে হস্তান্তর করা জমি, মিলটারি ফার্ম কর্তৃক দ’খল করা জমিসহ এ বিমানবন্দরের জন্য অধিকৃত জমি বেবিচকের অনুকূলে হস্তান্তরের পর বিমানবন্দরটি সংস্কার করে পুনরায় চালুর পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
বরিশাল বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার সরকারের কোনো পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে কিনা সরকারি দলের সংসদ পংকজ নাথের এমন প্রশ্নের বিমান প্রতিমন্ত্রী জানান, বরিশাল বিমানবন্দর ফ্লাইট পরিচালনার উপযোগী রয়েছে। এ বিমানবন্দরের রানওয়ে, ট্যাক্সিওয়ে, টার্মিনাল ভবন এবং ৫০ হাজার বর্গফুট অ্যাপ্রোনসহ অন্যান্য সুবিধা রয়েছে। এ বিমানবন্দরের সেবার মান আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্য বেবিচক বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। বিমানবন্দরটি আধুনিকায়নের জন্য বিস্তারিত সম্ভাব্যতা সমীক্ষা, ড্রইং-ডিজাইন, মাস্টার প্ল্যান ও ব্যয় প্রাক্কলন নির্ধারণের জন্য আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইয়োসিন হিরিম সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পাদন ও মাস্টারপ্ল্যান প্রস্তুতের কাজ শেষ হয়েছে।
কাজী নাবিল আহমেদ যিনি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য তার কাছে জানতে চাওয়া হলে মাহবুব আলী বলেন, যশোর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যাওয়ার কোনো ধরনের পরিকল্পনা সরকারের এই সময়ে নেই। মংলা সমুদ্রবন্দর ও মংলা ইপিজেড ও মংলা অর্থনৈতিক অঞ্চলকে সক্রিয় গড়ে গড়ে তোলার জন্য পিপিপির আওতায় খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
ক্ষমতাসীন দলের নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের একটি প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নোয়াখালী বা লক্ষ্মীপুরে বিমানবন্দর নির্মাণ করার কোনো ধরনের পরিকল্পনা সরকারের বর্তমানে নেই। চট্টগ্রাম বিমানবন্দর হতে নোয়াখালী সদর উপজেলার যে দূরত্ব রয়েছে সেটা মাত্র ৪৮ নটিক্যাল মাইল। এছাড়া সেখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থাও অনেক ভালো। তিনি বিমান পরিবহনের ক্ষেত্রটিকে লাভজনক করতে বিভিন্ন সরকারি পরিকল্পনার রূপরেখা দেন।