সম্প্রতি বিয়ে বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে বিভিন্ন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাছে । যার ফলে সমাজে নানা প্রকার অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সৃষ্টি হচ্ছে। পরকীয় সম্পর্কের জেরে প্রতিনিয়ত ভাঙ্গছে অসংখ্য সংসার। পরিবার গুলো জড়িয়ে পড়ছে নানা ধরনের দ্বন্দ্বে। এবার স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে অনশন তরুনীর।
স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে এক যুবকের বাড়িতে অনশন করছেন এক তরুণী। বুধবার ফরিদগঞ্জে উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের হাওয়াকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে ৯৯৯-এ কল করার পর পুলিশ এসে বিষয়টি সুরাহার জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেছেন।
মেয়েটি জানায়, উপজেলার ১০নং গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের হাওয়াকান্দি গ্রামের ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন মানিক তার সাবেক স্বামীর ভাতিজা। ২০০৯ সালে আনোয়ার হোসেন মানিকের চাচা বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়।
বিয়ের পর মানিক নানাভাবে ছবি তুলে আমাকে হয়রানি করে মানিকের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে বাধ্য করে। এই সম্পর্কের কেন্দ্রে আমাদের ৭ বছরের সংসার ভেঙে যায়। মানিকের আমাকে পরে বিয়ে করার কথা থাকলেও সে বিদেশে চলে যায় এবং চার বছরও ফিরে আসেনি।
এরপর পরিবারের কারণে ঢাকার রামপুর গ্রামের বাসিন্দা এনামুল হকের সঙ্গে আমার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। সেখানেও মানিক আমার নানাভাবে ক্ষতি করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমার দ্বিতীয় সংসার ভেঙ্গে যায় কারণ সে আমার দ্বিতীয় স্বামীর সাথে যোগাযোগ করেছিল। তারপর মানিক বিদেশে থাকা অবস্থায় মোবাইল ফোনে আমার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিন্তু বিদেশ থেকে এসে এখন সে আমাকে স্বামীর অধিকার দিচ্ছে না। দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেও স্ত্রীর অধিকার না পাওয়ায় আমি আমার স্ত্রীর অধিকারের দাবিতে অনশন করছি।
এ বিষয়ে আনোয়ার হোসেনকে ফোন করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। অনশনের সময় আনোয়ার হোসেন মানিক ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন না। তারা আগেই ঘরের তালা দিয়ে কোথায় যেন চলে গেছে।।
১০ নং গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, বিষয়টি জেনেছি। স্থানীয় ইউপি সদস্যদের সহযোগিতায় ব্যবস্থা নিচ্ছি।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) প্রদীপ মন্ডল জানান, মেয়েটি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেছিল। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে স্থানীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আহমেদকে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিদেশে থাকা অবস্থায় মোবাইলের ফোনে বিয়ে করেও দেশে ফেরার পর স্ত্রীর মর্যাদা না পাওয়া অনশন করছে বলে জানান ওই তরুণী। এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বিষয়টি ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান কে দেখার জানানো হয়েছে।