নির্বাচন কমিশনার মো: আলমগীর বলেন, বিবেকের চাপ ছাড়া আমাদের কোনো চাপ নেই। বিবেকের চাপে নির্বাচন করতে হয় শান্তিপূর্ণ সুন্দর মেলা। যারা নির্বাচনে আসেনি তারা তাদের নির্বাচনী কৌশল অবলম্বন করেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোনো বোগাস নির্বাচন হবে না। এটাকে কারচুপির নির্বাচন বলার উপায় নেই। নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক ভোটার উপস্থিত হয়ে ভোট দেবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। বিধানসভা নির্বাচন।
নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেট ক্ষমতা দেওয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী দেশরক্ষায় নিয়োজিত বাহিনী। আমাদের বেসামরিক প্রশাসনের যেকোনো কাজে প্রয়োজন হলে আমরা তাদের ডাকি। তারা আমাদের সাহায্য করে। তাদের ম্যাজিস্ট্রেট ক্ষমতা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। একটা জিনিস বুঝতে হবে, যার হাতে অস্ত্র আছে তাকে ম্যাজিস্ট্রেসি দেওয়ার অধিকার নেই। ন্যায়বিচার এবং অস্ত্র একসাথে থাকতে পারে না।
রাজনৈতিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পরিচালনার বর্তমান নিয়ম অব্যাহত থাকবে। আবার আমরা পক্ষে বা বিপক্ষে কিছু বলিনি। আমরা শুধু বলেছি যে আমাদের নির্বাচনী আচরণবিধি রয়েছে এবং সেখানে যে নির্বাচনী অপরাধ রয়েছে তার ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। নির্বাচন ঠেকাতে কোনো ধরনের হুমকি, কাউকে আঘাত, ভয়ভীতি বা নির্বাচন না করা, নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগ, অগ্নিসংযোগ রোধ করতে আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে চিঠি দিয়েছি। এ ধরনের সাধারণ সভা করার নিয়ম থাকায় আমাদের পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই। এটি আসলে আপনার দ্বারা বা অন্য কোন মাধ্যমে বিকৃত এবং প্রচার করা হয়েছে। এটা সঠিক নয়। আপনি একজন ব্যক্তিকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ভোট দিতে বা না দিতে বলতে পারেন। ভয়ে বলা যাবে না।
এ সময় কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।