সম্প্রতি বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি। আর এই বিবিসিই সম্প্রতি ভারত এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করে। আর সেই তথ্য চিত্র বেশ সারা ফেলেছে সবখানে। এখন পর্যন্ত এই তথ্য চিত্রের ২ টি পর্ব প্রকাশ করেছে গণমাধ্যমটি। এবার এ নিয়ে এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশের মৌনতা নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন জার্নালিস্ট জুলকারনাইন সায়ের। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই লেখনী তুলে ধরা হলো হুবহু:-
সম্প্রতি প্রচারিত বিবিসির তথ্যচিত্রে বেশ পরিস্কারভাবে তুলে ধরা হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশটিতে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর বছরের পর বছর ধরে কিভাবে নিপীড়ন ও ত্রাসের শাসন কায়েম করেছেন। প্রতিবেদনটিতে প্রকাশ পেয়েছে কেবল মাত্র গরু’কে কেন্দ্র করে তৈরী সহিংসতায় ৪৪ জন মুসলমান প্রান হারিয়েছেন ও মারাত্মক আহত হয়েছেন ২৮০ জন। আরো এসেছে কিভাবে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরে নির্মমভাবে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছিলো প্রদেশটির লাখো ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের। দিল্লির রাস্তায় কতটা বর্বরতার সাথে ফাইজানকে পিটিয়ে মেরেছে ভারতের পুলিশ, তারও বিস্তারিত দেখানো হয়েছে।
ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি, যা বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার চাইতেও বেশী। কিন্তু প্রতিবেশী দেশের মুসলমানদের উপর দেশটির সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় নিপীড়ন চালানোর বিষয়ে আমাদের বিভিন্ন নাগরিক ফোরাম, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমকে বেশ নীরব ভূমিকাই পালন করতে দেখা যায়।
বিবিসির এই বিস্ফোরক তথ্যচিত্রের দুটি পর্ব প্রচারের পরেও বাংলাদেশের মূলধারার কোন সংবাদমাধ্যমে এ বিষয়ে তেমন কোন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি।
নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী, তিনি ভারতের সরকার প্রধান, বাংলাদেশের নন। তার ব্যক্তিত্ব ও রাজনৈতিক আদর্শের যে উদ্বেগজনক চিত্র তথ্যচিত্রটিতে অত্যন্ত যুক্তিসংগতভাবে তথ্য-প্রমান সহ তুলে ধরা হয়েছে তা নিয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও সুধী সমাজে বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা হওয়া জরুরী।
প্রসঙ্গত, তথ্য চিত্র প্রকাশ হওয়ার পরে এ নিয়ে ভারতও তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। তবে জানা গেছে অনেক মোদী বিরোধীরা এ বিষয়ে বেশ ক্ষোভ জানিয়েছেন।