বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারনে স্বল্প বয়সে কিশোর-কিশোরীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যার ফলশ্রুতিতে শেষ পর্যন্ত শারীরিক সম্পর্ক পর্যন্ত হয়ে থাকে। এমন একটি ঘটনা ঘটেছে রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার একটি এলাকায়। নাবালিকা কিশোর-কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার পরে তাদের এক সন্তান জন্ম নিয়েছে, যা নিয়ে বিপাকে পড়েছে ওই কিশোরীর অভিভাবকগণ।
সন্তান জন্মের পরও বিয়ে করেননি ঐ কিশোর কিশোরী। এ ঘটনায় তাদের অভিভাবকদের তলব করেছে হাইকোর্ট। কিশোরীর বাবা-মাকে ২৮ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টায় আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।
কিশোর আসামির জামিন শুনানিকালে এ আদেশ দেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহ হাইকোর্ট বেঞ্চ।
বুধবার (১০ আগস্ট) কিশোরের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সেলিনা আক্তার গণমাধ্যমকে আদালতের আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তার বাবা হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মেয়েটিকে খারাপ কাজের অভিযোগ রয়েছে। জোর করে খারাপ কাজ করার জন্য অষ্টম শ্রেণির ওই কিশোর লাল মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন কিশোরীর বাবা।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরী স্থানীয় দাখিল মাদ্রাসায় নবম শ্রেণিতে পড়ে। দেড় বছর আগে মেয়েটির সঙ্গে লাল মিয়ার অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া কিশোরের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর থেকে ওই তরুণীর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। যার কারণে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ২৫ মে মেয়েটি গর্ভবতী বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। পরে পীরগাছা থানায় জোর করে খারাপ কাজের মামলা দায়েরের পর গত ১ জুন কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামি বর্তমানে যশোর শি’/শু সংশোধনাগারে আছে।
গত কোরবানির ঈদের দুই দিন পর সন্তান প্রসব করেন কিশোরী। তবে বিয়ে না হওয়ায় সন্তান বাবার স্বীকৃতি পায়নি।
আইনজীবী সেলিনা আক্তার জানান, ছেলের পক্ষ থেকে মেয়েটির বাবার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেছে। ছেলে সন্তানের দায়িত্ব নিতে রাজি হয়। কিন্তু স্থানীয় গ্রামপ্রধান, চেয়ারম্যান-মেম্বারদের প্ররোচনায় মেয়েটির বাবা টাকা ও তিন বিঘা জমি দাবি করেন। যার কারণে বিষয়টির সুরাহা হয়নি। এ বিষয়ে শুনানি হলে কিশোরীর বাবা-মাকে ২৯ আগস্ট হাইকোর্টে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে এ ঘটনার পর অভিভাবকদের উচিত বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা, এমনটি জানিয়েছেন ঐ এলাকার বাসিন্দারা। তবে মেয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দাবী-দাওয়া করা হচ্ছে, যার কারণে ওই কিশোরের পরিবার বিপাকে পড়েছে। যেহেতু ঘটনাটি ভিন্নদিকে নেয়া হচ্ছে, সেহেতু ওই কিশোরকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করছে কিছু কূটকৌশলী ব্যক্তিরা এমনটিই জানিয়েছেন স্থানীয়রা।