বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেয় এক তরুণী। তবে সেখানে তাকে কেউ মেনে না নেওয়ায় দিনের পর দিন অবস্থান করতে থাকে। প্রেমিক তার প্রেমকে অস্বিকার করে তরুণীকে বাড়ি ফিরে যেতে বলে। তবে সে ওই প্রেমিকের বাড়িতে বেঁকে বসে। কারো কথায় সে না শুনে নিজের সিন্ধান্তে অনড় থাকে। ঘটনা সম্পর্কে এলাকাবাসী তার কাছে প্রশ্ন করলে সে ঘটনার বিবরন তুলে ধরে তাদের সমনে।
ঘটনা সম্পর্কে সে বলে, চার বছর আগে রাজধানীর হাতিরঝিলে একটি গানের অনুষ্ঠানে দেখা হয় তাদের। এরপর প্রেমের পরিচয় হয়। তবে প্রেমিকা গোপনে অন্যত্র বিয়ে করায় রাজশাহীতে চলে আসেন। নির্যাতিতা তার প্রেমিকের বাড়িতে এসে দাবি করে, ‘আমি তাকে বিয়ে করতে চাই। তার স্ত্রী থাকলে আমার আপত্তি নেই।’
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি ভাইরাল হলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, প্রেমিকের নাম জুয়েল রানা (২৫)। সে রাজশাহীর তানোর উপজেলার চান্দুরিয়া গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে। রানা ঢাকার একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকায় রয়েছেন।
আর বান্ধবীর নাম আয়েশা আক্তার রুমি (২৩)। তিনি জন্মসূত্রে বরিশালের বাসিন্দা হলেও পড়াশোনার জন্য ঢাকায় থাকেন। ঢাকা ইডেন মহিলা কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্রী রুমি পড়াশোনার পাশাপাশি একটি শোরুমে খণ্ডকালীন কাজ করেন।
সম্প্রতি রাজশাহী নগরীর নওদাপাড়া এলাকার এক মেয়ের সঙ্গে ছেলেটির বিয়ে হয়। মেয়েটি ছেলেটির সাথে পরিচয় হলে প্রেমের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে। জুয়েলের গ্রামের বাড়িতে আসতে বাধ্য হন ওই তরুণী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার (২৮ আগস্ট) ওই তরুণী জুয়েল রানার গ্রামের বাড়িতে আসেন। তিন দিন অনশনের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
তবে চিকিৎসা শেষে তিনি বর্তমানে সুস্থ আছেন। মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া জানান, খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়েটির বাড়িতে যোগাযোগ করে তাদের আসতে বলা হয়। কিন্তু পরে তাদের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
পুরো ঘটনাটি ঢাকায় হওয়ায় এবং ছেলেটিও বর্তমানে ঢাকায় থাকায় আমাদের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই। মেয়েটিকে ঢাকায় যেতে বলা হয়েছে, কিন্তু সে না গেলে আমাদের কিছু করার নেই।
ওই নারী এখন চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপতালে রয়েছে। গোছল খাওয়া দাওয়া না হওয়ায় খারপ ভাবে অসুস্থ হয়ে যায় সে। অন্যদিকে তার বাবা মাও ভুক্তভোগী তরুণীর কোন খোজ নিতে আসেনি।