চলতি বছরের জুলাইয়ের শেষে হঠাৎ করেই চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে রদবদল করেন বেইজিং।সেসময় তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাংকে সরিয়ে তার পূর্বসূরী ওয়াং ই-কে এই পদে ফের নিয়ে আসে দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি।
এবং কিনকে তার পদ হারানোর আগে প্রায় এক মাস জনসমক্ষে দেখা যায়নি। মূলত বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কারণে কিন গ্যাংকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মার্কিন গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাংকে গত জুলাইয়ে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কারণে তার পদ থেকে অপসারিত করা হয়। প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এমনটাই জানিয়েছে।
কিন গ্যাং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চীনা রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে কাজ করেছিলেন এবং সেখানে রাষ্ট্রদূত থাকাকালীন তার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল মঙ্গলবার বিষয়টি সম্পর্কে জ্ঞানী বেশ কয়েকজনের বরাত দিয়ে প্রতিবেদন করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিন বর্তমানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ হারানোর পর বর্তমানে তদন্তে সহযোগিতা করছেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক বা তার কর্মকাণ্ড চীনের জাতীয় নিরাপত্তাকে ক্ষুন্ন করেছে কিনা তা নিয়ে তদন্ত চলছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মতে, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির অভ্যন্তরীণ তদন্ত অনুসারে, চীনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বলা হয়েছিল যে কিন গ্যাং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চীনের রাষ্ট্রদূত হিসাবে তার মেয়াদ জুড়ে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত ছিলেন।
এমনকি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি শিশুর জন্ম হয়েছিল, দুটি সূত্র প্রভাবশালী এই মার্কিন সংবাদপত্রকে জানিয়েছে।
তবে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এই প্রতিবেদনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে রয়টার্সকে কোনো মন্তব্য করেনি।
উল্লেখ্য যে কিন গ্যাং রহস্যজনকভাবে এক মাসের জন্য কোথাও দেখা যায়নি যদিও তিনি ছয় মাস পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। জুলাইয়ের এক পর্যায়ে, প্রবীণ কূটনীতিক ওয়াং ই চীনের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন।
এর আগে ২০২১ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়াশিংটনে চীনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন কিন গ্যাং।