নিজেকে একেক সময়ে প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসতেন মিজানুর রহমান (৪৫) নাম এক যুবক। তবে ৬ মাস থেকে ১ বছর- এর বেশি সংসার করেন না তিনি। আর এরই ধারাবাহিকতায় একে একে দশ দশটি বিয়ে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
মিজান কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লাহ দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের এতবারপুর ভূইয়াবাড়ির ফজলুল হকের ছেলে।
এদিকে এরই মধ্যে এক ভুক্তভোগী রাশেদা বেগমকে বিয়ে করে তিনি ফেঁসে যান। বিয়ের আগে মিজানুর নিজেকে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেন।
রাশেদা বেগম বলেন, মিজানুর যাদের বিয়ে করেছে, তারা বেশিরভাগই বিধবা ও নিরীহ পরিবারের মেয়ে। অনেককে আবার বিয়ে করেছে ডিভোর্স দিয়েছে। তার প্রতারণার শিকার ১০ স্ত্রী হলেন- সেফালী আক্তার, সিফা, জেসমিন, কাজল, মোর্শেদ বেগম মিজান, মনি, রিয়া, শান্তা আক্তার, রাশেদা। ৬ মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত মিজানের সংসার ছিল না।
ভিকটিম রাশেদা বেগম যুগান্তরকে বলেন, বিয়ের আগে আমাকে মিজান বলে – আমার বাবা-মা নেই। আমি এতিম সেনাবাহিনীতে চাকরি করি। স্ত্রী মারা গেছে। মিজান ২০২১ সালের ১১ এপ্রিল আদালতের মাধ্যমে তিন লাখ টাকার কাবিননামায় আমাকে বিয়ে করেন।
বিয়ের কিছুদিন পর সে আমার আত্মীয়ের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং বলে যে সে তাদের কাউকে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেবে, বিদেশে পাঠাবে। এ কথা বলে স্বজনদের কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হন। পরে রাশেদা বেগমের স্বজনরা তাকে টাকার জন্য চাপ দিলে মিজানুর রহমানের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ রয়েছে।
রাশেদ বেগম আরও বলেন, আমি আদালতে যৌতুক বিরোধ আইনের ৩ ধরায় মামলা করেছি, আদালত বিয়েপাগল মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন। পুলিশ তাকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি
এদিকে এ ব্যাপারে মঙ্গলবার বুড়িচং থানার ওসি মারফ রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ইতিমধ্যে ওয়ারেন্ট কাগজ হাতে এসেছে, আর এরই আলোকে অভিযুক্ত মিজানকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান তিনি।