জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের প্রয়াণের পর দলটিতে অভ্যন্তরীণ কোন্দল যেন কোনোভাবেই থামছে না। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো যেসময় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে, ঠিক সেই সময় জাতীয় পার্টি নিজেদের দলের মধ্যে সংকটময় পরিস্থিতি মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। এবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের আদালত থেকে পেলেন দুঃসংবাদ।
জাতীয় পার্টির কার্যক্রম পরিচালনায় দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। সোমবার ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ (১ম আদালত) মাসুদুল হকের আদালত এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
গত ৪ অক্টোবর জাপার বহিষ্কৃত উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
আদেশে বলা হয়, ১ নম্বর প্রতিপক্ষ (জিএম কাদের) ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখের গঠনতন্ত্রের আলোকে তিনি যাতে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে না পারেন এবং দলের কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারেন সেজন্য সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এদিকে আদালতের নিষেধাজ্ঞার আদেশের একটি কপি সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জিয়াউল হক মৃধা।
প্রসংগত, জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতা মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাপার সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার পর থেকেই নতুন করে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে মশিউর রহমান রাঙ্গা জিএম কাদেরকে নানা বিষয় নিয়ে হুঁশিয়ারি দেন। এদিকে রওশন এরশাদ এবং জিএম কাদেরের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই যেন বেড়েই চলেছে, যার কারণে জাতীয় পার্টি বেশ সংকটময় পরিস্থিতিতে পড়েছে।