বিদ্যুত এমন একটি অতি প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য যেটা ছাড়া মানব জাতির অস্তিত্বের কথা ভাবাটা অনেক দুষ্কর হয়ে পড়বে। বিদ্যুৎ ছাড়া একটি দেশ পুরোপুরিভাবে অচল হয়ে পড়ে। মানুষের জীবনে বিদ্যুতের চাহিদা যে কতটা সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা। সম্প্রতি জানা গেল একটি খবর। সরকারি দপ্তরগুলোতেই ২ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া।
খাগড়াছড়িতে সরকারি অফিসগুলোর কাছে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের বিল বকেয়া প্রায় দুই কোটি টাকা। এই হিসাব চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিদ্যুৎ বিভাগ।
তালিকার শীর্ষে রয়েছে জেলা পুলিশ, যার অর্থ ৭০ লাখ টাকা। এ ছাড়া রামগড় পৌরসভার পাওনা ৪৫ লাখ টাকা, সদর উপজেলা পরিষদের ১০ লাখ টাকা, গণপূর্ত অধিদপ্তর ১২ লাখ টাকা, রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে ৬ লাখ টাকা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের কাছে ৪ লাখ টাকা। জেলা প্রশাসকের বাসভবনের নামে অতিরিক্ত তিন লাখ টাকা বকেয়া।
খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎ বিতরণ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বাগত সরকার জানান, সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বিদ্যুৎ বিল বাবদ ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পাব।
তবে কয়েকটি বিভাগের প্রধানরা বলছেন, আর্থিক বরাদ্দ পেলে এসব বকেয়া বিল পরিশোধ করা হবে। অধিদপ্তরগুলো বিল পরিশোধের আশ্বাস দিলেও চিঠি পাঠানোর পাশাপাশি আইন প্রয়োগের ইঙ্গিত দেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা।
এদিকে আয় সংকট থাকলেও বকেয়া আদায় করে দ্রুত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন রামগড় পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম কামাল।
তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বকেয়া বিলের বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না, তবে যদি পাই তাহলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
খাগড়াছড়িতে ১৩টি উপকেন্দ্রে ৭৭ হাজারের বেশি গ্রাহক রয়েছে। যেখানে দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা ৩৭ মেগাওয়াট।
প্রসঙ্গত, বিদ্যুৎ বিল সময়মত পরিশোধ করাটা সবারই একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য। বিদ্যুৎ বিল সময় মত পরিশোধ না করলে বিদ্যুৎ খাত খুব খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করে মানে জাতীয় সম্পদের হানি ঘটানো। তাই সঠিক সময়ে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে দেশের সার্বিক উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে সবার।