বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পরা মহামারির প্রভাবের পর সরকার বারবার জানিয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের প্রভাবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিষয়টি নিয়ে সবাইকে সতর্ক করেছেন। জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, মহামারীর মতো হোম অফিস চালু করা, অফিসের কাজের সময় কমানোসহ সংকট নিরসনে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সুপারিশ পাঠানো হবে।
সপ্তাহে একদিন পেট্রোল পাম্প বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ সংকট নিরসনে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে দুই ঘণ্টা লোডশেডিং হবে। এছাড়াও, অস্থায়ী লোডশেডিংয়ের সময় পেট্রোল পাম্পগুলি সপ্তাহে একদিন বন্ধ থাকবে। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এই লোডশেডিং সাময়িক সময়ের জন্য পরীক্ষামূলক হবে। সবাইকে আগেই জানানো হবে।অফিস সময় কমানো যায় কি না তাও পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে বিদ্যুতের চাহিদা উৎপাদনের তুলনায় প্রায় ৯ শতাংশ কম, যা লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে সমন্বয় করতে হচ্ছে। গত সপ্তাহে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে সেপ্টেম্বরের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। এরপর তিনি বলেন, সেপ্টেম্বরে অনেক কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হবে। রামপালের ইউনিট চালু করা হবে, আদানি গ্রুপের একটি, এস আলম গ্রুপের একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু করা হবে। বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি কেন্দ্রিক বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদন বাড়াবে। ফলে সেপ্টেম্বরের পর দেশে বিদ্যুৎ সংকট নাও হতে পারে।