বর্তমান সময়ে দেশে বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের দাম লাগামহীন ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত কয়েকদিন আগে বেড়েছে তেলের দাম। এরই মধ্যে আবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব উঠেছে। তবে এই বিষয়ে এখনও চূড়ান্ট সিদ্ধান্ত হয়নি। এবং এই দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে বিস্তারিত জানালেন বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো প্রস্তাব এখনো অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে আসেনি বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। বিদ্যুতের দাম বাড়বে কি না- এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, মানুষের অ্যাফোর্টেবিলিটি (ক্রয়ক্ষমতা) কমে গেছে। সেটি বাড়ানোর জন্য সরকার বিভিন্ন উদ্যাগও নিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, এখন সবাই ভালো অবস্থানে আছেন। বিদ্যুতের প্রাইজ বাড়ানো হবে কি না, সে প্রস্তাবনা এখনো আমাদের কাছে আসেনি। এলে আপনাদের কাছে সেটি শেয়ার করবো। তখন আপনারাও জানতে পারবেন।
নতুন দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনুমোদন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে ‘নো পাওয়ার নো পেমেন্ট’ করছি। এখানে রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট যেগুলো ছিলো সেগুলোর মেয়াদ আগেই শেষ হয়ে গেছে। এ মুহূর্তে আমাদের এখানে তারা আরও দু-এক বা পাঁচ বছর অপারেট করবে, সেজন্য কোনো এক্সট্রা চার্জ দিতে হবে না। যখন তাদের কাছ থেকে ইলেক্ট্রিসিটি তখন শুধু ওই পরিমাণ ইলেক্ট্রিসিটির চার্জ দিতে হবে। এখানে আমরা কোনোভাবেই লোকসান করার সুযোগ রাখিনি।
মুস্তফা কামাল আরও বলেন, আমাদের আরেও অনেকগুলো পাওয়ার প্ল্যান্ট করতে হবে। কারণ, এরইমধ্যে সরকার ক্লাইমেট চেঞ্জের প্রভাব থেকে দেশকে রক্ষা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে যুক্ত থেকে আমাদের কিছু পাওয়ার প্ল্যান্ট পাইপলাইনে ছিলো, সেগুলোকে আমরা এখন আর অনুমোদন দিচ্ছি না। পাইপলাইনে থাকা আটটি পাওয়ার প্ল্যান্টের অনুমোদন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। ফলে আমাদের এখানে আরেও পাওয়ার প্ল্যান্ট করতে হবে।
গত কয়েক বছর ধরে ধাপে ধাপে বেশ কয়েকবার বৃদ্ধি পেয়েছে বিদ্যুতের। অবশ্যে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে কাজ করছে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার। এরই লক্ষ্যে সরকার গ্রহন করেছে নানা ধরনের পদক্ষেপ। সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অনিযায়ী এই খাতের উন্নয়নের তাগিদে কাজ করছে দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিরা।