সাম্প্রতিক সময়ে দেশে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়ে গেছে। প্রকৃতপক্ষে বিদ্যুৎ উৎপাদনের গ্যাস সংকটের কারণে এই ধরনের লোডশেডিং বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এই সংকট বেশি দিন থাকবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এদিকে ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী যিনি প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন তিনি জানিয়েছেন এই সমস্যা কতদিন থাকতে পারে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটের কারণে দেশে চলমান লোডশেডিং আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত রাখা হলে ঘাটতি অনেকাংশে পূরণ হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাস পরিস্থিতি পর্যালোচনায় জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট শুধু বাংলাদেশে নয়, উন্নত দেশগুলোতেও রয়েছে উল্লেখ করে তৌফিক-ই-এলাহী বলেন, জাপানের আয় আমাদের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। সেখানেও লোডশেডিং আছে। ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়াসহ উন্নত দেশগুলোতেও লোডশেডিং হচ্ছে।
সেসব দেশের চেয়ে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে, এমনটি দাবি করে তিনি বলেন, আত্মতুষ্টির কোনো অবকাশ নেই। চলমান এই পরিস্থিতি যু/’দ্ধের মতো। সবাই মিলে চেষ্টা করলে পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা স্মরণ করে বিদ্যুৎ উপদেষ্টা বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সকলকে সাশ্রয়ী হতে হবে। এসি ২৫ ডিগ্রির নিচে না রাখা, আলোকসজ্জা করা করা, রাতের অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে শেষ করতে হবে।
তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেন, বৈঠকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগের প্রাদূর্ভাবের সময়ের অফিস শিডিউল ফিরিয়ে আনারও সুপারিশ করা হয়েছে। অফিসের সময় সংশোধন করে ৯টা থেকে ৩টা করা যায় কি-না, বা ঘরে বসে কাজ করা যায় কি-না, এ বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায় চিন্তা করতে পারে।
তিনি সেই সাথে আরো যোগ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুতের দাম বিষয়ে অনেক সহনশীল রয়েছেন। তাছাড়া বিদ্যুৎ খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে, যেটা চলমান রয়েছে। বর্তমান সময়ে যে জ্বালানী সংকট রয়েছে সেটা কিছুদিন ধরে চললেও খুব কম সময়ের মধ্যে সংকট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা হচ্ছে।