প্রায় ৫৭ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনের পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে জামিন বহাল রেখেছেন আদালত। আদালতের অনুমতি ছাড়া তিনি দেশ ছাড়তে পারবেন না।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত এ আদেশ দেন আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহীম।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ জাকির হোসেনের জামিন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। পরে জামিন বাতিল চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুদক। বুধবার সেই আবেদনের ওপর শুনানি হয়।
এর আগে গত ২৯ আগস্ট জাকির হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল বিন আতিক জাকির হোসেন।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দায়ের করা মামলায় জাকির হোসেনকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী গত ২৯শে আগস্ট আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। তবে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে তিনি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। ১৭ সেপ্টেম্বর অবকাশকালীন আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
জাকির হোসেন ১৯৯২ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। তিনি ১৯৯৫ সালে কুয়েত দূতাবাসে এবং ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কেনিয়ার নাইরোবিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ১৪ মার্চ তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।