জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলায় মৌসুমী সুলতানা নামের ২৪ বছর বয়সী মেয়ের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে অধৈর্য হয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে তার বাবা। গতকাল (শুক্রবার) বেলা ১১টার দিকে ক্ষেতলাল উপজেলাধীন মামুদপুর ইউনিয়ন এলাকার দক্ষিণ তৌরা বেলতা বানদিঘী নামক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৌসুমী নামের ওই তরুনী ঐ গ্রামের বাসিন্দা সুলতান শাহের মেয়ে।
মেয়েটির বাবা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৌসুমী সুলতানা অনেক বছর ধরে মালয়েশিয়ায় ছিলেন। এরপর গত নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি তিনি দেশে ফেরেন। দেশে আসার পর থেকেই বিদেশি স্টাইলে বেপরোয়াভাবে চলাফেরা ও নানা ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে।
ওই মেয়ে এলাকার বিভিন্ন বয়সী ছেলেদের সঙ্গে অসামাজিক কার্যকলাপে লি’প্ত হয় এবং একসময় মাদকের সঙ্গেও জড়িয়ে পড়ে। পরিবারের লোকজন তাকে বারবার নিষেধ করলে তার সহযোগীদের নিয়ে মা-বাবাকে মা’রধ’র করে। এমন ঘটনায় অতিষ্ঠ হয়ে তার বাবা থানায় অভিযোগ করেন।
এ ঘটনায় ক্ষেতলাল থা’না পুলি’শের ওসি (তদন্ত) শাহ আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে শুক্রবার রাত ১১টায় অভিযান চালিয়ে নিজ শয়ন কক্ষ থেকে একটি পালসার (১৫০ সিসি) মোটরসাইকেলসহ আপ’ত্তিকর অবস্থায় উপজেলার বারোইল নয়াপাড়া গ্রামের মেহের আলী মণ্ডলের ছেলে তোরাব উদ্দিন মণ্ডল (৩৫) ও মৌসুমী সুলতানাকে আ’টক করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মৌসুমী সুলতানা বলেন, বিদেশ থেকে দেশে ফেরার পর তোরাব উদ্দিন মণ্ডলকে গোপনে বিয়ে করি। আমার বাবার সঙ্গে ঝগড়া হওয়ার কারণে তিনি থা’নায় মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।
শাহ আলম যিনি ক্ষেতলাল থা’নার ওসি (তদন্ত) হিসেবে দায়িত্বরত তিনি এ বিষয়ে বলেন, বিয়ের কোনো ধরনের বৈধতার প্রমাণ না থাকার কারনে মেয়েটির বাবার করা অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বাড়ি যাওয়া হয় এবং সেখান থেকে তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার করে পেনাল কোডে (দ’ণ্ডবিধিতে) মামলা দেওয়ার পর আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।