বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। নথির আলোকে বিষয়টি আইন মন্ত্রণালয় বিবেচনা করবে বলে জানান তিনি।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ সময় বিএনপি হরতাল-অবরোধে ফিরলে আইনগতভাবে মোকাবিলা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন আইনমন্ত্রী।
এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার কোনো আইনি সুযোগ নেই।তবে বিএনপি নেত্রীর মুক্তির আগের বাড়ানো মেয়াদ আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে একই শর্তে মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে।
আবেদনে বিদেশে নেয়ার বিষয়টি ছিল- এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, আবেদনে বিদেশে নেয়ার বিষয়টি ছিল। কিন্তু এ ব্যাপারে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেই। আইনি সুযোগ থাকলে আমরা বিবেচনা করতাম।
খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে সরকারকে চিঠি দিয়েছে তার পরিবার। অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে সরকারের কাছে চিঠি দিয়েছে তার পরিবার। বেগম জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে নাজুক এবং বিদেশে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন।
গত ৭ সেপ্টেম্বর বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর দেওয়া চিঠি গ্রহণ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পরে চিঠিটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
এ বছরের ২৬ মার্চ খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ৭ম বারের মতো আরও ৬ মাস বাড়ানো হয়, যা আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে।
এ নিয়ে নির্বাহী আদেশে ৮ বারের মতো দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে খালেদা জিয়ার কারাজীবন শুরু হয়। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার সাজা হয়।
সাজা ও কারাভোগের পর সরকারের নির্বাহী আদেশে প্রায় চার বছর ধরে গুলশানের নিজ বাসায় ‘ফিরোজা’তে বসবাস করছেন খালেদা জিয়া। ৭৭ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন।