সাম্প্রতিক সময়ে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় বাংলাদেশের একজন নারী কূটনীতিকের বাসায় নিষিদ্ধ দ্রব্য রাখার অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনার পর তাৎক্ষণিক ভাবে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয। ওই ইন্দোনেশিয়ায় নিয়োগকৃত ঐ নারী কূটনীতিকের নাম কাজী আনারকলি। তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপরাধে তাকে এ ধরনের শাস্তি আওতায় আনা হচ্ছে।
দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ প্রশাসনিক শাস্তির কথা বলেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে ওএসডি কর্মকর্তাকে বরখাস্তের নোটিশও দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১০ আগস্ট) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। কমিটির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়া ফেরত ওই কূটনীতিকের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি আমাদের দেশের ভাবমূর্তির সঙ্গে জড়িত। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ও কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এরই মধ্যে তিনি ওএসডি হয়েছেন। এছাড়া একটি কমিটি কাজ করছে। ওই কর্মকর্তার অপরা’ধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ প্রশাসনিক শাস্তি হতে পারে।
কমিটির সভাপতি আরও বলেন, ইন্দোনেশিয়ায় কী ঘটেছে তা জানতে দেশটির সরকারকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে নিষিদ্ধ দ্রব্য গাঁ’/জা রাখার অভিযোগে সম্প্রতি এক নাইজেরিয়ান বন্ধুসহ ইন্দোনেশিয়ায় গ্রেপ্তার হন বাংলাদেশি কূটনীতিক কাজী আনারকলি। ইন্দোনেশিয়ার ড্রাগ কন্ট্রোল অথরিটির ডিটেনশন সেন্টারে তাকে প্রায় ২৪ ঘন্টা আটকে রাখা হয়েছিল। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়া সরকারের নির্দেশে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। পরে ওই কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়।
বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশ মিশনে এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে অতীতে কতজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে ফারুক খান বলেন, গত ১০ বছরে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কী ধরনের অপরাধ করেছে। বিভিন্ন মিশন এবং তাদের বিরুদ্ধে?” কী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তার বিশদ বিবরণ চাওয়া হবে। আমরা সুপারিশ করব যে তথ্য সব মিশনে পাঠানো হোক।’
উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশী দূতাবাসের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা বিভিন্ন অপরা”ধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য আলোচিত হয়। বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যাতে কোনভাবে ক্ষুন্ন না হয় সে বিষয়ে সচেষ্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে এ ধরনের অপরা”ধের মাধ্যমে যারা বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করবে’ তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে বলেও জানা গেছ।