আদালতের অনুমতি ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। বিদেশে চিকিৎসার জন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো আবেদন করা হয়নি। আর আদালতের অনুমতি ছাড়া বিদেশে চিকিৎসা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হচ্ছে। তবে বিদেশে চিকিৎসার জন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো আবেদন করা হয়নি। তার আবেদন করার পর যদি আদলত খালেদা জিয়াকে বিদেশ যাওয়া অনুমতি দেয় তাহলেই কেবল সেই চিকিৎসা নিতে বিদেশ যেতে পারবে। এই ব্যথিতবিদেশিদের চিকিৎসার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কিছু করার নেই, এ ক্ষেত্রে আদালত সিদ্ধান্ত দেবেন।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কাকে ভিসা দিবে কাকে দেবে না সেটি তাদের এখতিয়ার। স্বরাষ্ট্র দপ্তর মার্কিন ভিসা নীতির আওতায় থাকা ব্যক্তিদের কোনো তালিকা পায়নি। পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৯ আগস্ট রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে তিনি অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, লিভার, হার্ট ও কিডনির সমস্যা নিয়ে খালেদা জিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর তাকে কারারুদ্ধ করা হয়।
২০২০ সালের মার্চ মাসে, দেশে করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে। এরপর থেকে তিনি তার গুলশানের বাসায় অবস্থান করছেন। এ পর্যন্ত সরকার প্রতি ছয় মাস অন্তর খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে আসছে।